সম্প্রতি ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা (NMIC)-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘চাদ – দ্য টেরেস’ ছবির স্পেশাল স্ক্রীনিং, যা পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী এবং এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পাওলি দাম। এই ছবির স্পেশাল স্ক্রীনিং অনুষ্ঠিত হয় NFDC-এর উদ্যোগে, যা ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স ডে (৮ মার্চ) উপলক্ষে ৭ মার্চ ছবির রিলিজের আগেই আয়োজিত হয়।
‘চাদ – দ্য টেরেস’ একটি গভীর ও ভাবনা উদ্রেককারী নাটক, যা ব্যক্তিগত পরিসর, পরিচয় এবং আত্ম-প্রকাশের মতো থিম নিয়ে আলোচনা করে। ছবিটি ইতিমধ্যেই IFFI গোয়া, IFFSA টরন্টো, কোলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং কান চলচ্চিত্র উৎসব সহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে। এটি দর্শকদের কাছে গভীরভাবে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, বিশেষ করে মহিলাদের স্বাধীনতা এবং তাদের স্থান নিয়ে এটি একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করেছে।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী গুণী ব্যক্তিত্বরা
চিত্র প্রদর্শনীর আগে আয়োজিত “আপনার স্বাধীনতা, আপনার স্থান” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন পাওলি দাম এবং ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী, সহ অন্যান্য গুণী অতিথিরা, যাদের মধ্যে মিঃ আলেকজান্ডার মাটসুকো, বেলারুশ কনসাল জেনারেল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এই আলোচনা পর্বে সিনেমার থিম এবং মহিলাদের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

NFDC কর্তৃক সম্মাননা প্রদান
এই ইভেন্টে NFDC-এর জেনারেল ম্যানেজার, মিঃ রামকৃষ্ণন ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী-কে সম্মানিত করেন, এবং তরুন তালরেজা, প্রোডাকশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন-এর জেনারেল ম্যানেজার, পাওলি দাম এবংআরুনাভ মিদ্য়া, ছবির লাইন প্রযোজককে সম্মানিত করেন, যারা এই শক্তিশালী গল্পকে জীবন্ত করে তোলার জন্য তাদের অবদান রেখেছেন।
NFDC-এর ফ্রি মিউজিয়াম ট্যুর
স্ক্রীনিংয়ের পর, NFDC দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ মিউজিয়াম ট্যুর আয়োজন করেছিল, যেখানে দর্শকরা ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসের শতবর্ষী এক ঝলক দেখতে পেরেছেন। NMIC-এর মিউজিয়ামটি ভারতীয় সিনেমার ঐতিহ্য এবং ইতিহাস তুলে ধরে, যা দর্শকদের আরও গভীরভাবে ‘চাদ – দ্য টেরেস’ ছবির থিমের সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করেছে।
চাদ – দ্য টেরেস: এক নজরে
এই ছবিটি একজন মহিলার নিজস্ব পরিসরের অধিকার এবং আত্মপ্রকাশের গল্প বলে। এটি মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক চাপ এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করে। ছবির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পাওলি দাম-এর অভিনয়, যিনি তার চরিত্রের মাধ্যমে জীবনের নানা আবেগ, সংগ্রাম এবং স্বাধীনতার খোঁজে একটি গভীর যাত্রায় গেছেন।
চলচ্চিত্রটির নির্মাণ এবং এর সামাজিক বার্তা ভারতীয় চলচ্চিত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে। এটি আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং আগামী দিনে আরও ব্যাপকভাবে আলোচনা হবে।