ভারত ও চীন তাদের সম্পর্কের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় চালু করতে এবং সাংবাদিকদের আদান-প্রদান সহজতর করতে সম্মত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি ২০২০ সালের সীমান্ত উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিমান চলাচল পুনরায় চালু:
কোভিড-১৯ মহামারী এবং পরবর্তী রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে প্রায় পাঁচ বছর পর ভারত ও চীন সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে। নয়াদিল্লির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির বেইজিং সফরের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। উভয় পক্ষ শীঘ্রই এই ফ্লাইটগুলোর জন্য একটি আপডেটেড ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করবে।
সাংবাদিকদের আদান-প্রদান:
সাংবাদিকদের আদান-প্রদান সহজতর করার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করবে। এটি দুই দেশের মধ্যে তথ্যের প্রবাহ বাড়িয়ে জনগণের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
সীমান্ত সম্পর্কের উন্নয়ন:
সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উভয় দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সীমান্ত ইস্যু সমাধানের জন্য বিশেষ প্রতিনিধি বৈঠক পুনরায় শুরু করার বিষয়ে সম্মত হন।
পর্যটন ও তীর্থযাত্রা:
ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের জন্য তিব্বতের পবিত্র স্থানসমূহে ২০২৫ সালে তীর্থযাত্রা পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সম্পর্কের উন্নয়নে সহায়তা করবে।
পরিবেশগত সহযোগিতা:
সীমান্ত নদীগুলোর উপর চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত চীনকে এই প্রকল্পের বিষয়ে স্বচ্ছতা ও পরামর্শমূলক পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
ভারত ও চীনের এই পদক্ষেপগুলো দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাংবাদিকদের আদান-প্রদান, সরাসরি বিমান চলাচল, সীমান্ত সম্পর্কের উন্নয়ন, তীর্থযাত্রা এবং পরিবেশগত সহযোগিতা—এসবই দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।