দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে বাকি !!

Days
Hours
Minutes
Seconds

অর্পিতা চক্রবর্তী: স্বপ্ন দেখা থেকে সফল নারী উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

অর্পিতা চক্রবর্তী: স্বপ্ন দেখা থেকে সফল নারী উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

পরিচিতি:
অর্পিতা চক্রবর্তী – এক সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের মেয়ে, যাঁর জীবনের গল্প শুধুমাত্র স্বপ্ন দেখার নয়, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার। ছোটবেলা থেকেই সৃজনশীল কাজে ঝোঁক ছিল তাঁর, বিশেষ করে পোশাক ও ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে। কিন্তু বিয়ের পর সংসারের গণ্ডির মধ্যেও তিনি নিজেকে আবিষ্কার করলেন নতুনভাবে।

প্রথম কর্মজীবন ও ব্যবসার প্রতি আগ্রহ

অর্পিতা দির কর্মজীবন শুরু হয়েছিল একটি প্রাইভেট চাকরি দিয়ে। কিন্তু চাকরির পাশাপাশি তিনি লক্ষ্য করলেন, কিভাবে সাধারণ শাড়ি ও পোশাক একটু নতুন ডিজাইন ও কারুকাজ দিয়ে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। তাঁর মনে হলো, তিনি নিজেও কিছু করতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই সেলাইয়ের প্রতি আগ্রহ থাকায় এবং বিদেশি ম্যাগাজিনের ট্রেন্ড দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি শুরু করলেন নিজের ছোট্ট বুটিক।

২০০৯ সালে, শুধুমাত্র নিজের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসকে সম্বল করেই তিনি গড়ে তুললেন নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড। তাঁর প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁত, ঢাকাই, এবং হ্যান্ডলুমের পোশাককে আধুনিক ডিজাইনের ছোঁয়া দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

অর্পিতা চক্রবর্তী: স্বপ্ন দেখা থেকে সফল নারী উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

ডিজিটাল প্রযুক্তি ছাড়াই সফল উদ্যোক্তা

আজকের দিনে, যখন ই-কমার্স এবং ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া ব্যবসা কল্পনা করা কঠিন, তখন অবাক করার বিষয় হলো, অর্পিতা চক্রবর্তী একেবারেই প্রযুক্তির উপর নির্ভর না করেই তাঁর বুটিক ব্যবসাকে বিস্তৃত করেছেন। তাঁর ডিজাইন করা পোশাক শুধু বাংলার বাজারেই নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে।

নারীশক্তির অনুপ্রেরণা

শুধু নিজের ব্যবসা নয়, অর্পিতা দি বহু গৃহবধূ এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া নারী ও পুরুষদের সাহায্য করছেন, যাতে তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারেন। তিনি তাঁদের শেখাচ্ছেন কিভাবে নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করা যায়।

উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ

১. নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন – সফলতার প্রধান চাবিকাঠি হলো আত্মবিশ্বাস।
2. বাজার গবেষণা করুন – কী ধরনের প্রোডাক্ট মানুষের পছন্দ হচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করা জরুরি।
3. সৃজনশীল হোন – নতুনত্বই আপনাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তুলবে।
4. পরিশ্রম ও ধৈর্য – রাতারাতি সফলতা আসে না, পরিশ্রমের মাধ্যমেই তা অর্জিত হয়।

শেষ কথা

অর্পিতা চক্রবর্তীর এই সংগ্রামের কাহিনি শুধুমাত্র একজন নারী উদ্যোক্তার সাফল্যগাথা নয়, এটি প্রমাণ যে, ইচ্ছা ও পরিশ্রম থাকলে যে কেউ নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে। তার গল্প অন্য নারীদেরও অনুপ্রেরণা জোগাবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য।

এই অসাধারণ নারী উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আমরা শিখলাম, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অদম্য মানসিকতা থাকলে কিভাবে জীবনে সাফল্য পাওয়া সম্ভব।

🔹 আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না! অর্পিতা চক্রবর্তীর গল্প আপনাকে কতটা অনুপ্রাণিত করলো? কমেন্টে জানান! 💬

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
আরও পড়ুন
error: Content is protected !!