প্রতিবেদন:
ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তিতে যোগ হল এক নতুন পালক। লাদাখের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে সফলভাবে পরীক্ষা করা হল ‘আকাশ প্রাইম’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই শক্তিশালী মিসাইল সিস্টেমটি শত্রুর ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ধ্বংসে অসাধারণ ক্ষমতা রাখে।
অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের পাঠানো চিনা যুদ্ধবিমান ও ড্রোন রুখে দিয়েছিল যে আকাশ সিস্টেম, সেই প্রযুক্তিরই আরও উন্নত সংস্করণ এই ‘আকাশ প্রাইম’। এবার সেটি সফলভাবে পরীক্ষিত হল প্রায় ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায়, কঠিন প্রাকৃতিক পরিবেশে।
পরীক্ষার সময় কী দেখা গেল?
ডিআরডিও (DRDO) তৈরি এই সিস্টেম পরীক্ষা করার সময় উচ্চ গতির দুটি এয়ার টার্গেটকে নিখুঁতভাবে লক্ষ্য করে ধ্বংস করে। যা এই সিস্টেমের টার্গেটিং পারফরম্যান্স এবং প্রতিক্রিয়া দক্ষতা বোঝায়।
উপস্থিত ছিলেন সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। এটি ভারতীয় প্রতিরক্ষায় এক নতুন মাইলফলক।
Akash Prime the upgraded variant of Akash Weapon System successfully engaged and destroyed two Aerial High Speed Unmanned targets during trials at high altitude in Ladakh Sector. The weapon system is customised to operate in altitude above 4500 meters and has latest upgrades… pic.twitter.com/OL1qYLZF1S
— DRDO (@DRDO_India) July 17, 2025
ভারতের বিমান প্রতিরক্ষায় কী পরিবর্তন আসবে?
‘আকাশ প্রাইম’ সিস্টেম ভারতীয় সেনার তৃতীয় ও চতুর্থ আকাশ রেজিমেন্টে যুক্ত করা হবে। এর ফলে ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ঢাল আরও শক্তিশালী হবে এবং চীনা কিংবা পাকিস্তানি আক্রমণের ক্ষেত্রে আরও দ্রুত ও নির্ভুল প্রতিক্রিয়া সম্ভব হবে।
দেশীয় প্রযুক্তিতে বড় অগ্রগতি – UAV ও C-UAS
একইসঙ্গে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক UAV (Unmanned Aerial Vehicle) এবং C-UAS (Counter-Unmanned Aerial Systems) ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
নয়াদিল্লির মানেকশ সেন্টারে এই বিষয়ে একটি কর্মশালা ও প্রদর্শনী হয় HQ IDS এবং CENJOWS-এর সহযোগিতায়। উদ্দেশ্য—বাহ্যিক OEM-এর উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি তৈরি।
বিশেষজ্ঞদের মত
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন,
“আকাশ প্রাইম শুধু একটি মিসাইল নয়, এটি ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা শক্তির প্রতীক। শত্রুপক্ষ জানুক, ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকালে পরিণতি শুভ হবে না।”
ভারতীয় আকাশে আত্মবিশ্বাস
‘আকাশ প্রাইম’ শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের আত্মবিশ্বাস। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা এবং শত্রুকে মোকাবিলা করার ক্ষমতায় ভারতের এগিয়ে চলা—এটাই এই প্রকল্পের মূল বার্তা।