আহমেদাবাদ:
দেশের ইতিহাসে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল গুজরাতের আহমেদাবাদ। গতকাল রাতে মেঘানিনগরের ফরেনসিক হস্টেলের কাছে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং বিমান। আজ সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বহু যাত্রীর, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও।

বিমানের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। সেনা, NDRF, সিভিল ডিফেন্স ও স্থানীয় পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। শনাক্তকরণে সমস্যার কারণে দেহগুলোর DNA পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর আজ সকালে আহমেদাবাদে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি আহত চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের সঙ্গেও দেখা করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য সাক্ষাৎ হতে পারে বোয়িং বিমানের একমাত্র জীবিত যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশের সঙ্গেও। এই দুর্ঘটনার পর গতকালই আহমেদাবাদে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে তদন্তে নামছে DGCA, ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন, এয়ার ইন্ডিয়া এবং বোয়িং। দুর্ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে উপস্থিত হয়েছে ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞ দল। তদন্তে সাহায্যের জন্য ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে AAIB (Accidents Investigation Branch)। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিমান ভেঙে পড়ার পর আশপাশের বহু বহুতল ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেঘানিনগরের BJ মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের সামনে পড়ে থাকা বিমানের ডানাগুলি এই দুর্ঘটনার ভয়াবহতাকে আরও প্রকট করে তুলেছে।
উচ্চপর্যায়ের তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। গুজরাত প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫০ কিমি ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে এবং বাইরে থেকে কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।