Ahmedabad Plane Crash: ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে ‘CUTOFF’ ত্রুটি, তদন্ত রিপোর্টে পাইলটদের প্রশ্নচিহ্ন!
নিজস্ব প্রতিবেদন | কলকাতা |
মাত্র ৩২ সেকেন্ডের ফ্লাইট, আর তাতেই মৃত্যু ২৭০ জনের! ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল গুজরাতের আমদাবাদ। এক মাস পর প্রকাশিত হল Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB)-এর ১৫ পাতার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট। আর সেখানেই উঠে এল এমন এক ভুল, যা পুরো উড়ানটাই শেষ করে দিয়েছিল—ইঞ্জিনের জ্বালানি কাটঅফ সুইচ।
ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে পাইলটের গলায় আতঙ্ক:
তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে, উড়ানের কিছু সেকেন্ড পরেই এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞেস করেন—“Why did you cut off?” অর্থাৎ, “তুমি জ্বালানি বন্ধ করলে কেন?” কিন্তু অপর পাইলট জানান, তিনি কিছুই করেননি!
এই কথোপকথন স্পষ্ট করে দেয়, CUTOFF-এ জ্বালানি চলে যাওয়াই ছিল দুর্ঘটনার মূল কারণ।
কী এই ‘CUTOFF’ ত্রুটি?
বিমানের ইঞ্জিন চালু রাখতে জ্বালানি সুইচ RUN অবস্থায় থাকতে হয়, কিন্তু ১২ জুনের লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার-এ সেটি হঠাৎ CUTOFF-এ চলে যায়। অর্থাৎ, ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। উড়ানের শুরুতেই এমন হওয়ায়, বিমান দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হারায়।
EAFR-এ রেকর্ড, কিন্তু তার পরই নীরবতা…
Enhanced Airborne Flight Recorder (EAFR)-এ দেখা গিয়েছে, কিছুক্ষণের মধ্যে পাইলটরা আবার CUTOFF থেকে RUN-এ পরিবর্তন করেন। অর্থাৎ, তাঁরা শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
তবুও, রেকর্ডিং কয়েক সেকেন্ড পর বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই MAYDAY বার্তা পাঠানো হয়। তবে, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল কোনও উত্তর পায়নি।
হস্টেলে গিয়ে আছড়ে পড়ে বিমান, ২৭০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু
জ্বালানিতে পরিপূর্ণ বিমানটি সামান্য সময়ের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায় আমদাবাদের একটি মেডিক্যাল ছাত্রাবাসের উপর। বিশাল বিস্ফোরণে সেখানে থাকা বহু ছাত্রের মৃত্যু হয়।
মোট ২৪২ জন যাত্রী এবং নীচে থাকা ৩০ জন—মোট ২৭০ জনের মৃত্যু হয়। মাত্র একজন যাত্রী জীবিত রয়েছেন।

পাইলটদের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন
বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল, যাঁর ৮,২০০ ঘণ্টার উড়ান অভিজ্ঞতা রয়েছে। সহকারী ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর, যাঁর ছিল ১,১০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, উভয় পাইলটই বিশ্রামে ছিলেন, সুস্থ ছিলেন এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তও ছিলেন। কিন্তু ঘটনার আচমকাই ছিল মূখ্য কারণ।
প্রযুক্তির ত্রুটি নাকি মানবিক ভুল?
এই দুর্ঘটনা ফের প্রশ্ন তোলে—বিশাল যাত্রীবাহী বিমানে এমন ত্রুটি কীভাবে হয়? প্রযুক্তির ভুল, না কি পাইলটের কোনও অনিচ্ছাকৃত গাফিলতি?
AAIB এখন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ থেকেও ঘোষণা করা হয়েছে, তদন্তে কোনও রকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।