ডিজিটাল ডেস্ক: নাগপুরে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এক অনন্য উৎসব, যার ইতিহাস ১৩৫ বছরেরও বেশি পুরনো। এই উৎসবের নাম মারবট। শুধু উৎসব নয়, এটি নাগপুরবাসীর ঐতিহ্য, বিশ্বাস এবং প্রতিবাদের এক বিশেষ প্রতীক।
🔹 মারবটের সূচনা
ব্রিটিশ শাসনের আমলে নাগপুরে বারবার মহামারি, প্লেগ এবং নানা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ত। স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করতেন, এই দুষ্টশক্তিকে প্রতীকী রূপে পুতুল বানিয়ে শোভাযাত্রা করলে অশুভ শক্তি দূরে সরে যায়। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল মারবট উৎসব।
🔹 কেমন হয় এই উৎসব?
প্রতিবছর নাগপুরে তৈরি করা হয় দুটি বিশাল প্রতীকী পুতুল—
- কালো মারবট
- পীত মারবট

এই দুটি মারবট শহরের রাস্তায় শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয়। মানুষের বিশ্বাস, এই রীতি অশুভ শক্তি দূর করে এবং সমাজকে সুস্থ রাখে।
🔹 ব্রিটিশ-বিরোধী প্রতিবাদের প্রতীক
শুধু মহামারি প্রতিরোধ নয়, মারবট উৎসবের সঙ্গে যুক্ত ছিল ব্রিটিশ-বিরোধী প্রতীকী প্রতিবাদও। ব্রিটিশ আমলে নাগপুরবাসী এই উৎসবকে ব্যবহার করতেন তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশে। তাই এটি একই সঙ্গে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও প্রতিবাদের উৎসব।
🔹 আজকের দিনে মারবট
আজও নাগপুরে একই ঐতিহ্য বজায় রেখে মারবট উৎসব পালিত হয়। এটি নাগপুরবাসীর কাছে শুধু একটি উৎসব নয়, বরং ইতিহাস, জনস্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সামাজিক ঐক্যের প্রতীক।