Games Banned In India 2025: ভারতে অনলাইন গেমিং শিল্পের উপর বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) সভাপতিত্বে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে Online Gaming Bill অনুমোদিত হয়েছে। নতুন বিল অনুসারে, বাজি বা জুয়া-ভিত্তিক অনলাইন গেম এখন থেকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বুধবারই লোকসভায় এই বিল উপস্থাপন করা হতে পারে।
এই বিলে কী বলল সরকার?
সরকারের দাবি, অনলাইন গেমিংয়ে প্রতারণা ও অনিয়ম রুখতেই এই পদক্ষেপ। এই বিল কার্যকর হলে-
- গেমিং কোম্পানিগুলির উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আসবে।
- গেমারদের জন্য তৈরি হবে নিরাপদ পরিবেশ।
- যে সব গেম ব্যবহারকারীদের আসক্তি তৈরি করছে বা আর্থিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে, সেগুলি নিষিদ্ধ করা হবে।
- হিংসাত্মক বা আপত্তিকর কনটেন্ট প্রচারকারী গেমগুলিকেও নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
সরকারের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে গেমিং সেক্টরে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রাহকরা প্রতারণা থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।
গেমিং ইন্ডাস্ট্রির উপর প্রভাব
বর্তমানে ভারতে কোটি কোটি মানুষ অনলাইন গেম খেলেন। এর মধ্যে অনেকেই বাজি বা রিয়েল ক্যাশ ভিত্তিক গেমে যুক্ত। নতুন বিল কার্যকর হলে-
- এই ধরনের ক্যাশ গেমিং কোম্পানিকে তাদের নীতি পরিবর্তন করতে হবে।
- ভার্চুয়াল মানি বা বেটিং-ভিত্তিক গেম বন্ধ হয়ে যাবে।
- নন-লিস্টেড ও লিস্টেড গেমিং কোম্পানির জন্য আসবে কঠোর নিয়মনীতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আইনগত নিয়ন্ত্রণ বাড়লেও অনলাইন গেমিং ইন্ডাস্ট্রি বড় ধাক্কা খেতে পারে।
কোন গেম নিষিদ্ধ হতে পারে?
নতুন বিল অনুসারে নিম্নলিখিত গেমগুলিকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে—
- জুয়া বা বাজি ভিত্তিক গেম
- ভার্চুয়াল মানি ও রিয়েল ক্যাশ গেম
- অত্যধিক আসক্তি বাড়ায় এমন গেম
- আর্থিক ক্ষতি বা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এমন গেম
- হিংসাত্মক বা আপত্তিকর বিষয়বস্তু প্রচারকারী গেম
প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা: জিএসটি সংস্কারে স্বস্তির ইঙ্গিত
একইসঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থে সরকার GST সংস্কার আনছে।
- এখনকার ৫টি স্ল্যাব (০%, ৫%, ১২%, ১৮%, ২৮%) কমিয়ে মাত্র ২টি স্ল্যাব রাখা হতে পারে।
- ২৮% স্ল্যাবে থাকা প্রায় ৯০% পণ্য আনা হবে ১৮% স্ল্যাবে।
- ১২% জিএসটি কমে ৫% হবে।
- পণ্যের উপর থেকে সেস তুলে দেওয়া হতে পারে।
ফলে দীপাবলির আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেকটা সস্তা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন অনলাইন গেমিং ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন কাঠামোয় আনবে, অন্যদিকে গেমারদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে। পাশাপাশি GST সংস্কারের ফলে সাধারণ মানুষও পাবেন দামের স্বস্তি।
📌 এখন দেখার বিষয়, লোকসভায় পাশ হলে নতুন এই Online Gaming Bill কবে থেকে কার্যকর হয়।