কলকাতা:
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি-এনসিআর-এর সমস্ত রাস্তার কুকুরদের আট সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে ডেডিকেটেড ডগ শেল্টারে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী, কোনও পথকুকুরকে একবার আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার পর আর কখনও রাস্তায় ছাড়া যাবে না। দিল্লি সরকার, এমসিডি এবং এনডিএমসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সব কুকুরকে জনবসতি থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
এই রায় ঘিরেই সারা দেশ জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পশুপ্রেমীরা একবাক্যে বলছেন, “রাস্তায় প্রতিটি প্রাণীর মতো কুকুরদেরও সমান অধিকার আছে।”
কলকাতায় রাস্তায় নামলেন সেলেবরা
রবিবার দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী মোড় থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত এক প্রতিবাদ মিছিল হয়। সেই মিছিলে পা মেলান বহু পশুপ্রেমী। বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন টলিউড তারকারা—
- দেবলীনা দত্ত
- তথাগত মুখোপাধ্যায়
- সৌম্য বন্দোপাধ্যায়
- রণজয় বিষ্ণু
তাঁরা একসুরে বলেন—
👉 “এটা অত্যন্ত অন্যায় ও অমানবিক রায়। কুকুরদের দিয়ে শুরু হলেও এটি প্রত্যেকটি প্রাণীর অস্তিত্বের লড়াই।”
কেন এত ক্ষোভ?
পশুপ্রেমীদের দাবি—
- কুকুরদের রাস্তা থেকে জোর করে সরিয়ে নেওয়া তাদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।
- প্রাণীরা সমাজের অংশ, তাদেরও বাঁচার অধিকার রয়েছে।
- আশ্রয়কেন্দ্রে কুকুরদের দীর্ঘদিন আটকে রাখা তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কী বলছে?
✔️ ৮ সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত কুকুরকে সরিয়ে নিতে হবে।
✔️ পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতে হবে।
✔️ কোনও কুকুরকে একবার শেল্টারে রাখার পর আর রাস্তায় ফেলা যাবে না।
✔️ দিল্লি সরকার, এমসিডি ও এনডিএমসি যৌথভাবে কাজ করবে।
ভবিষ্যতের লড়াই
কলকাতার মিছিলের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করছে— #SaveStrayDogs #JusticeForAnimals। দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন পশুপ্রেমীরা।
আপনার কী মত? রাস্তায় থাকা কুকুরদের সরানো উচিত, নাকি তাদের স্বাধীনভাবে থাকতে দেওয়া উচিত? নিচে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।