দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে বাকি !!

Days
Hours
Minutes
Seconds

রাশিয়া সফরে অজিত ডোভাল, ট্রাম্পের তেল হুমকির মাঝেই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক!

রাশিয়া সফরে অজিত ডোভাল, ট্রাম্পের তেল হুমকির মাঝেই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক!

নয়া দিল্লি, ৬ আগস্ট:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক হুঁশিয়ারির মাঝেই রাশিয়া সফরে গেলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এই সফরে রাশিয়ার সিনিয়র রণনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তাঁর আলোচনা হতে পারে বলে খবর।

রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা TASS জানিয়েছে, এই সফর সম্পূর্ণ পূর্বনির্ধারিত হলেও, বর্তমানে রাশিয়া-আমেরিকা-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনের প্রেক্ষিতে এটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি কেন?

সম্প্রতি ট্রাম্প ভারতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত যদি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা চালিয়ে যায়, তবে আমেরিকা ভারতের উপর ভারী আমদানি শুল্ক আরোপ করবে। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া থেকে তেল কিনে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে আর্থিক সাহায্য করছে।

ট্রাম্প আরও বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করলে তিনি কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপাবেন। এই কড়া অবস্থানের মাঝে ডোভালের এই সফর আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে ঘিরে নতুন চর্চা শুরু করেছে।


কী নিয়ে আলোচনা হবে ডোভালের রাশিয়া সফরে?

TASS-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোভাল এবং রাশিয়ান রণনীতিবিদদের আলোচনার মূল বিষয় হবে:

  • ভারত-রাশিয়া প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
  • অপরিশোধিত তেল আমদানিতে অব্যাহত যোগাযোগ
  • রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারতের অবস্থান
  • ভারতীয় ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা

সূত্র অনুযায়ী, আলোচনায় তেল সরবরাহ, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও সামরিক সহযোগিতা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে।


কেন এই সফর এত গুরুত্বপূর্ণ?

এই সফরের সময়কাল এমন এক সময়ে পড়েছে, যখন ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

  • আমেরিকার চাপ
  • ইউক্রেন যুদ্ধ
  • আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে অস্থিরতা
  • ভারত-রাশিয়া বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ

এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই এই সফর কূটনৈতিকভাবে এক বিশাল পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।শকত

বিশেষজ্ঞ মত

বিশিষ্ট কূটনৈতিকদের মতে, “এই সফর ভারত দেখিয়ে দিল যে তারা একতরফা মার্কিন চাপের সামনে মাথা নত করবে না। বরং, রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক ধরে রাখতে চায় দিল্লি।”


শেষকথা

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এই সফর শুধু প্রতিরক্ষা বা জ্বালানি নয়, বরং ভারতের স্বাধীন কূটনৈতিক অবস্থানের স্পষ্ট বার্তা। পশ্চিমা বিশ্বের চাপ উপেক্ষা করে ভারত নিজের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিজ্ঞ। এখন দেখার, এই সফরের পরে বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা কতটা পাল্টায়।


📌 আপডেট পেতে আমাদের ফলো করুন — আপনার কণ্ঠস্বর, আপনার খবর।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
আরও পড়ুন
error: Content is protected !!