৩ আগস্ট, ২০২৫
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এক রাতের ব্যবধানে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রোস্তভ, জামারা ও পেঞ্জা অঞ্চলে আক্রমণে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো ও গুরুত্বপূর্ণ তেল শোধনাগার। এই হামলাকে কিয়েভের তরফে রাশিয়ার আগের আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
কী কী লক্ষ্যবস্তু ছিল?
- রায়াজান (Ryazan) ও Novokuibyshevsk (Samara)–এর তেল শোধনাগার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড
- Voronezh-এর Annanefteprodukt ফুয়েল স্টোরেজ ক্ষতিগ্রস্ত
- Penza–র Electropribor ডিফেন্স ইলেকট্রনিক্স কারখানা সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত
বেসামরিক হতাহত
- রোস্তভ অঞ্চলে ড্রোন পড়ে এক নিরাপত্তা কর্মী নিহত
- জামারায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষে এক প্রবীণ ব্যক্তি দগ্ধ হয়ে মৃত্যু
- পেঞ্জায় Electropribor কারখানায় এক নারী নিহত, আরও দুইজন আহত
ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া ও উদ্দেশ্য
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ দাবি করেছে, এই আক্রমণে তারা রাশিয়ার সামরিক সরবরাহ এবং জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় ধরনের ক্ষতি করেছে।
এই অভিযানে অংশ নেয় ইউক্রেনের:
- SBU (সিক্রেট সার্ভিস)
- HUR (মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স)
- Special Operations Forces
- Unmanned Systems Forces
এটি রাশিয়ার কিয়েভে চালানো ভয়াবহ মিসাইল-ড্রোন হামলার পাল্টা পদক্ষেপ। ওই হামলায় নিহত হয় ৩১ জন এবং আহত হয় প্রায় ১৫০ জন।
চমকে দেওয়া মুহূর্ত: আগুনের মাশরুম ক্লাউড
Novokuibyshevsk তেল শোধনাগারে আঘাতের পর একটি ৫৯০ ফুট উঁচু মাশরুম ক্লাউড তৈরি হয় যা অনেক দূর থেকেও দেখা যায়। একে রাশিয়ার জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বড় আঘাত হিসেবে বিবেচনা করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।
রাশিয়ার দাবি
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, তারা গতরাতে ১১২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে ৩৪টি শুধু রোস্তভ অঞ্চলেই। তবে বেসামরিক হতাহতের বিষয়টি স্বীকার করেছে ক্রেমলিন।
গঠনমূলক বিশ্লেষণ
বিষয় | তথ্য |
---|---|
হামলার তারিখ | ২ আগস্ট রাত থেকে ৩ আগস্ট ভোর পর্যন্ত |
টার্গেট এলাকা | রাশিয়ার Ryazan, Samara, Penza, Voronezh, Rostov |
ড্রোনের সংখ্যা | প্রায় ১১২টি |
ক্ষয়ক্ষতি | তেল শোধনাগার, সামরিক কারখানা, ফুয়েল স্টোরেজ |
নিহত | ৩ জন (বেসামরিক) |