দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে বাকি !!

Days
Hours
Minutes
Seconds

লর্ডসে ইতিহাস গড়েও উদযাপন নয়! কপিল দেবের রেকর্ড ভাঙলেন বুমরাহ, জোর করে তার হাত তুললেন সিরাজ

লর্ডসে ইতিহাস গড়েও উদযাপন নয়! কপিল দেবের রেকর্ড ভাঙলেন বুমরাহ, জোর করে তার হাত তুললেন সিরাজ

লর্ডস, লন্ডন – ইতিহাস গড়লেন তিনি। কিংবদন্তি কপিল দেবকে টপকে গেলেন। লর্ডসে পাঁচ উইকেট নিয়ে নিজেকে তুললেন অনার্স বোর্ডে। কিন্তু তবু মুখে হাসি নেই, কোনও উদযাপন নেই, এমনকি হাতও তুললেন না নিজের কৃতিত্বের জন্য। হ্যাঁ, বলছি জসপ্রীত বুমরাহের কথা।

শুক্রবার লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডকে ৩৮৭ রানে অলআউট করার পিছনে মূল কারিগর ছিলেন ভারতীয় পেস spearhead জসপ্রীত বুমরাহ। ৭৪ রানে ৫ উইকেট তুলে নিলেন তিনি, তাতে তৈরি হল এক নয়া রেকর্ড—বিদেশের মাটিতে ভারতের সর্বাধিক পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। এতদিন যা কপিল দেবের দখলে ছিল (১২ বার), এবার তা টপকে গেলেন বুমরাহ (১৩ বার)।

সিরাজের ‘জোর করে উদযাপন’

তবে বিস্ময়করভাবে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে কোনও বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বুমরাহর মুখে। বরং, তিনি একেবারেই শান্ত ছিলেন। ঐতিহ্যগতভাবে পাঁচ উইকেট পেলে বোলাররা বলে হাত তুলে অভিবাদন গ্রহণ করেন, ঠিক যেমন করতেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। কিন্তু বুমরাহ সেই কাজটিও করেননি। তখনই পাশে থাকা মোহাম্মদ সিরাজ এগিয়ে এসে তাঁর হাত জোর করে তুলে দেন, এবং লর্ডসের গ্যালারি উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।

বুমরাহর বিধ্বংসী স্পেল

দিনের শুরুতেই তান্ডব চালান বুমরাহ। সকালে জো রুটের সেঞ্চুরি দিয়েই খেলা শুরু হলেও খুব বেশি ক্ষণ তিনি টিকতে পারেননি। বুমরাহর বল মাঝখান দিয়ে ঢুকে মধ্য স্টাম্প ছিটকে দেয় রুটকে (১০৪)। এরপর এক বলের ব্যবধানে ফেরান ক্রিস ওকসকে (০), এবং আরও আগেই আউট করেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসকে (৪৪)। একই ওভারে দুটি উইকেট নেওয়ায় ছিলেন হ্যাটট্রিকের কাছাকাছি, তবে ব্রাইডন কার্স সেই সুযোগ থেকে বেঁচে যান।

এই স্পেলে মাত্র সাত বলের মধ্যে তিনটি উইকেট তুলে নেন বুমরাহ, এবং গোটা ইনিংসে ৫ উইকেট। প্রথম টেস্টেও হেডিংলেতে পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রামে ছিলেন workload management-এর কারণে।

কপিল দেবের রেকর্ড ভেঙে নতুন রাজা

বুমরাহর বিদেশের মাটিতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার সংখ্যা এখন ১৩। এতদিন এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন কপিল দেব (১২)। এরপর রয়েছেন অনিল কুম্বলে (১০) এবং ঈশান্ত শর্মা (৯)।

ভারতীয় বোলিংয়ের আধিপত্য

বুমরাহর আগুনে স্পেল ছাড়া মোহাম্মদ সিরাজ এবং শার্দুল ঠাকুরও গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। ধ্রুব জুরেল, যিনি রিশভ পন্থের পরিবর্তে খেলছেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সঠিক DRS নিয়ে দলের উপকার করেন।


শান্ত মুখেই বাজিমাত! হয়তো জয়কে চিৎকার করে উদযাপন না করলেও, জসপ্রীত বুমরাহ প্রমাণ করলেন—বোলিং মানেই ধার, ধৈর্য আর দায়িত্ব। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে আরও এক স্বর্ণাক্ষরে লেখা দিন তিনি উপহার দিলেন। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এটাই এক নীরব অনুপ্রেরণা: কাজ করো, ফল আপনাআপনি বলবে তোমার হয়ে।

আরও ক্রিকেট আপডেট পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন 🔔

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
আরও পড়ুন
error: Content is protected !!