🔱 গুরু পূর্ণিমা ২০২৫: কবে, কেন ও কীভাবে পালন করবেন এই পবিত্র দিন? জানুন পূর্ণ তথ্য!

Post Views: 91

গুরু পূর্ণিমা ২০২৫: কবে পড়ছে?

এই বছর গুরু পূর্ণিমা পালিত হবে ১০ই জুলাই, ২০২৫, বৃহস্পতিবার। এদিন আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথি থাকবে সকাল থেকেই পরদিন ভোর পর্যন্ত।
👉 পূর্ণিমা তিথি শুরু: ১০ জুলাই, রাত ১:৩৯ মিনিটে
👉 পূর্ণিমা তিথি শেষ: ১১ জুলাই, রাত ২:০৮ মিনিটে

এই দিনটিকে Vyasa Purnima-ও বলা হয়, কারণ এদিনই মহর্ষি বেদব্যাসের জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়।

গুরু পূর্ণিমার মাহাত্ম্য

গুরু পূর্ণিমা মানেই শুধুই একজন শিক্ষককে সম্মান জানানো নয়, বরং তিনি যিনি আমাদের অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসেন—তাঁকে স্মরণ করা। হিন্দু শাস্ত্র মতে, গুরু হলেন সেই মহাজন, যিনি আত্মিক জ্ঞান ও জীবনের প্রকৃত পথ দেখান।

এই দিনটি মহর্ষি বেদব্যাসের জন্মজয়ন্তী হিসেবে উদযাপিত হয়, যিনি বেদ বিভাজন করে জ্ঞান সহজলভ্য করেছিলেন। তিনিই রচনা করেন মহাভারত, ব্রহ্মসূত্র, ভাগবত, এবং ১৮টি পুরাণ। তাই, গুরু পূর্ণিমা শুধু শিক্ষকদের নয়, বরং সকল জ্ঞানদাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন।

পূজা পদ্ধতি ও রীতি

গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে পূজা করার নিয়ম:

খুব ভোরে উঠে স্নান ও শুচি হয়ে নতুন বা পরিষ্কার পোশাক পরুন।
পুজার ঘরে বা বাড়ির গুরু/আদর্শ ব্যক্তির ছবি বা উপস্থিতিতে ফুল ও মালা অর্পণ করুন।
গুরুজিকে আসনে বসিয়ে তাঁকে মাল্যদান করুন।
এরপর তাঁকে বস্ত্র, ফল, ফুল ও দক্ষিণা প্রদান করুন।
গুরু বা অভিভাবকের আশীর্বাদ নিন এবং মানসিকভাবে তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানান।

বিশেষ টিপস:

পিতা-মাতা, শিক্ষক, বড় ভাইবোন, বা যে কেউ যিনি জীবনে পথ দেখিয়েছেন, তিনিও গুরুসম।
এই দিন মন্ত্র দীক্ষার জন্যও খুব শুভ।

বেদব্যাস ও আধুনিক শিক্ষার ভিত্তি

বেদব্যাস ছিলেন ঋষি পরাশরের পুত্র। তিনি ভবিষ্যতের সমাজে ধর্মচ্যুতি দেখেছিলেন, তাই তিনি চার ভাগে বেদকে বিভক্ত করেন—ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ।
তাঁর চার প্রধান শিষ্য—পৈল, বৈশম্পায়ন, জৈমিনি ও সুমন্তুমুনি—এই জ্ঞানকে আরো অনেক উপশাখায় ভাগ করে মানুষের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দেন।

পরে তিনি পঞ্চম বেদ হিসেবে পুরাণসমূহ রচনা করেন, যাতে সাধারণ মানুষ গল্পের মাধ্যমে জ্ঞান আহরণ করতে পারে।