ভারতের ৪ সেঞ্চুরিও রক্ষা করতে পারল না ম্যাচ, ফিল্ডিং ব্যর্থতা ও বাজে বোলিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়া।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ম্যাচ খুব কমই দেখা যায়। প্রথম ইনিংসে ভারত করল ৫৮৭ রান, যার মধ্যে শতরান এল শুভমান গিল (১৪৭), কে এল রাহুল (১৩৭), ঋষভ পন্থ (১১৮) ও যশস্বী জাইসওয়ালের (১০১) ব্যাট থেকে। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে এক টেস্টে চার সেঞ্চুরি করার ঘটনা বিরল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারল না।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ছিল ৩৭১ রান। সাধারণত টেস্টের পঞ্চম দিনে এত বড় রান তাড়া করা প্রায় অসম্ভব বলেই ধরা হয়। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটালেন বেন ডাকেট। ওপেন করতে নেমে তিনি একাই ভারতীয় বোলিং আক্রমণকে তছনছ করে দিলেন।

- ডাকেট খেলেন ১৪৯ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস।
- প্রথম উইকেটেই ক্রলি ও ডাকেট জুটি গড়েন ১৮৮ রান।
- ওলি পোপ ও হ্যারি ব্রুক তাড়াতাড়ি আউট হলেও
- জো রুট (৭২*) ও জেমি স্মিথ (৪৬*) মিলে সহজেই জয় এনে দেন দলকে।
শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৭৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। পঞ্চম দিনে এই রান তাড়া টেস্ট ইতিহাসে অন্যতম সেরা রান চেজ হয়ে থাকবে।
❌ ভারতের ভুলগুলো:
- ভারতীয় বোলাররা শুরুতে কিছুটা ধারাবাহিকতা দেখালেও ফিল্ডাররা একাধিক ক্যাচ ফেলে দেন।
- গোটা ম্যাচে ৮টিরও বেশি ক্যাচ ছেড়ে বড় ক্ষতি করে ফিল্ডিং বিভাগ।
- প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও শার্দূল ঠাকুর ওভারপ্রতি ৬-৭ রান দেন, যা চাপ বাড়িয়ে দেয় দলের ওপর।
- বুমরা ও সিরাজ কিছু ভালো বল করলেও তেমন সঙ্গ পাননি।
সিরিজ পরিস্থিতি:
এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসের দল তাদের ‘বেজবল’ নীতিতে ভর করে আরেকবার দেখাল, কেন তারা এখন বিশ্বের অন্যতম ভয়ংকর টেস্ট দল।
চারটি শতরান, বিশাল রান, দুর্দান্ত সূচনা—সবই ছিল ভারতের ঝুলিতে। কিন্তু খারাপ ফিল্ডিং ও শেষ দিনে বল হাতে চাপ নিতে না পারার খেসারত দিল পুরো দল। ডাকেটের ইনিংস ও ইংল্যান্ডের আত্মবিশ্বাস এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল।