ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব এখন আর শুধুমাত্র একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু নয়—এটি বিশ্বের অর্থনৈতিক ভারসাম্যকেই প্রশ্নের মুখে ফেলছে। সাম্প্রতিক হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এর প্রভাব সরাসরি পড়ছে তেল, স্বর্ণ এবং শেয়ার বাজারের উপর।

📉 শেয়ার বাজারে ধস, আতঙ্ক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ থেকে শুরু করে ভারতের মত উঠতি বাজারেও শেয়ার সূচকে পতনের ধারা স্পষ্ট। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ঝুঁকছেন স্বর্ণ বা মার্কিন ডলারের দিকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে বাজারে জ্বালানি ও মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত উদ্বেগ বেড়ে যায়।

🛢️ তেলের দামে লাফ, ভারতেও বাড়তে পারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম
সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। ইতিমধ্যেই ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে প্রতি ব্যারেল $90 এর কাছাকাছি। ভারত যেহেতু তেল আমদানির উপর নির্ভরশীল, তাই ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষের উপর এর চাপ পড়বে বলেই আশঙ্কা।

📊 মূল্যস্ফীতির ভয়: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়তে পারে
বিশ্ব অর্থনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভবিষ্যতে সুদের হার নিয়ে আরও সতর্ক হতে পারে। খাদ্যদ্রব্য, পরিবহন থেকে শুরু করে সব খাতে দাম বাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

🕊️ কূটনীতিক মহলে উদ্বেগ, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানাচ্ছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে শুধু অর্থনীতি নয়, বিশ্ব রাজনীতিতেও বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা।