পুরী, ১১ জুন ২০২৫:
আজ জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায় উদযাপিত হচ্ছে পুরীর বিখ্যাত স্নানযাত্রা ২০২৫। এই দিনে গর্ভগৃহ থেকে শোভাযাত্রা সহকারে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রাকে আনা হয় মন্দির চত্বরে স্থাপিত স্নানমণ্ডপে। সেখানে ১০৮ ঘড়া পবিত্র জল, চন্দন, সুগন্ধি ফুল ও ঔষধি উপাদানে তৈরি ভেষজ জলে তাঁদের স্নান করানো হয়।

এই স্নানযাত্রার পর দেবতাদের ১৫ দিনের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হয়, যাকে বলা হয় ‘অনাসার পর্ব’। এই সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে এবং রাজবৈদ্যের দ্বারা গোপনে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁদের সেবা করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই সময় দেবতা জ্বরে আক্রান্ত হন, এবং রাজবৈদ্যের পাঁচন খেয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হন।

এদিন সকাল ৪.৩০ মিনিটে মঙ্গলার্পণ দিয়ে দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর মঙ্গলারতি, সূর্য পুজো এবং নির্ধারিত সময়ে পুজো ও স্নান অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ১২.২০ মিনিট থেকে।
পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে ১০ জুন সকাল ১১:৩৬ থেকে এবং শেষ হবে আজ ১১ জুন দুপুর ১:১৩ মিনিটে।

দেবতারা সুস্থ হয়ে ওঠার পর মহাসমারোহে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে রাজবেশে সজ্জিত জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রথে চেপে মাসির বাড়ি যান। এই রথযাত্রা উপলক্ষে গোটা পুরী শহর মেতে ওঠে আনন্দ ও উৎসবের জোয়ারে।
স্নানযাত্রার তাৎপর্য:
এই উৎসব বর্ষার সূচনা এবং দেবতাদের শরীর শীতল করার এক গুরুত্বপূর্ণ আচার। ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, স্নানযাত্রা শুধুমাত্র ধর্মীয় রীতি নয়, বরং জগন্নাথদেবের মানবিক রূপের প্রতীকও।

Snan Yatra 2025 ঘিরে পুরীতে তৈরি হয়েছে এক পবিত্র আবহ। এই পরম্পরা শুধু ভক্তি ও বিশ্বাসের নয়, বরং এক ঐতিহাসিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যা যুগের পর যুগ ধরে চলছে একই আড়ম্বরে।