🔵 জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা ব্রত ২০২৫: তারিখ ও তিথি (Kolkata অনুযায়ী সময়)
• পূর্ণিমা তিথি শুরু: ১০ জুন ২০২৫, সকাল ১১:৩৮ মিনিট
• পূর্ণিমা তিথি শেষ: ১১ জুন ২০২৫, দুপুর ১:১৫ মিনিট
জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মে এক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে গঙ্গাস্নান ও দানের মাধ্যমে পূণ্য লাভ হয়। বিশেষত গঙ্গায় স্নান করলে সকল মনস্কামনা পূর্ণ হয়—এমনটাই বিশ্বাস।
🔵 জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমার গুরুত্ব (Importance of Jyeshtha Purnima)
জ্যৈষ্ঠ মাস হল হিন্দু পঞ্জিকার তৃতীয় মাস এবং এই সময় সূর্যের তাপ চরমে ওঠে। নদী, পুকুরে জল শুকিয়ে যায়। তাই এই মাসে জলের গুরুত্ব অনন্য। এই সময় উদযাপিত হয় গঙ্গা দশহরা, নির্জলা একাদশীর মতো জলকেন্দ্রিক উৎসব।
জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা থেকেই শুরু হয় অমরনাথ যাত্রা, যেখানে ভক্তরা গঙ্গাজল নিয়ে যাত্রা করেন।
🔵 জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা ব্রত ও পুজোর বিধি (Jyeshtha Purnima Vrat Puja Vidhi)
এই দিনটি ‘বট পূর্ণিমা’ হিসেবেও পালন করা হয়, বিশেষত বিবাহিত নারীদের কাছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রত। গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ ভারতে এই দিন ‘বট সাবিত্রী ব্রত’ হিসেবে খ্যাত।
👉 ব্রতের নিয়মাবলীঃ
- সকালে গঙ্গাস্নান বা শুদ্ধজলে স্নান করে মনোসংযোগ করুন।
- দুটি বাঁশের ঝুড়ি নিন –
• প্রথম ঝুড়িতে রাখুন ৭ রকমের শস্য এবং কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন।
• দ্বিতীয় ঝুড়িতে মা সাবিত্রীর মূর্তি রাখুন, সঙ্গে ধূপ, প্রদীপ, অক্ষত, সিঁদুর, মৌলি ও অন্যান্য পুজার সামগ্রী। - বটগাছের পূজা করুন ও মা সাবিত্রীর কাহিনি শুনুন।
- তারপর মৌলি (লাল সুতো) দিয়ে বটগাছের চারপাশে সাতবার ঘুরে পবিত্রতা ও মনস্কামনার জন্য প্রার্থনা করুন।
- শেষে ইচ্ছামতো ব্রাহ্মণ বা দরিদ্রদের দান করুন। ছোলা ও গুড় প্রাসাদ হিসেবে বিতরণ করুন।
🔵 কারা পালন করবেন এই ব্রত?
বিশেষত বিবাহিত নারীরা এই ব্রত পালন করে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও সংসারের মঙ্গল কামনায়। তবে যে কেউ চাইলে গঙ্গাস্নান, দান ও পূজার মাধ্যমে পূর্ণিমার পুণ্য লাভ করতে পারেন।
🔵 উপসংহার ও ধর্মীয় বার্তা
জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা কেবল একটি পূজার দিন নয়, এটি প্রকৃতির মাহাত্ম্য উপলব্ধি করার একটি উপলক্ষ। গ্রীষ্মের খরায় জলের অভাব আমাদের শেখায় – জলের মর্যাদা কী। তাই এই দিনে গঙ্গাস্নান, বট বৃক্ষ পূজা ও দানের মাধ্যমে আমরা প্রকৃতি ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।