পাকিস্তানে বালুচ বিদ্রোহ এখন আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। একদিকে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে ভয়াবহ অস্থিরতা—দু’দিকেই ধাক্কা খাচ্ছে ইসলামাবাদ। এই অবস্থায় সোমবার গভীর রাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে বালুচ-বিদ্রোহীরা দখল করে নেয় পাকিস্তানের সুরাব শহর।
বিদ্রোহীরা প্রথমে হামলা চালায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনগুলিতে। দখল নেয় ডেপুটি কমিশনারের অফিস, সরকারি অতিথিশালা, সবক’টি পুলিশ স্টেশন এবং একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, পাকসেনার অন্তত ৩০টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র লুঠ করে নেয় বিদ্রোহীরা। আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে দেয় সরকারি ভবন, গুদাম, ব্যাঙ্ক ও গাড়ি।
এই অভিযানে নিহত হয়েছেন সহকারী ডেপুটি কমিশনার হিদায়াতুল্লা বুলেদি। বিদ্রোহীরা পাক-পুলিশ অফিসার ও কর্মীদেরও বন্দি করেছে বলে দাবি।
বালুচ লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র জিয়ান্দ বালুচ জানিয়েছেন, “এই অভিযান আমাদের স্বাধীনতার লড়াইয়ে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। পাকিস্তানের সামরিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক কেন্দ্রগুলোকে ধ্বংস করাই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য।”

এছাড়াও জানা গিয়েছে, বিদ্রোহীরা কোয়েটা-করাচি ও সুরাব-গিদ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পাকসেনার গতিবিধি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
এই ঘটনার পরে পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অভ্যন্তরে এমন ভয়ানক বিদ্রোহ পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে এনে ফেলেছে। বালুচ-বিদ্রোহীরা স্পষ্ট জানিয়েছে, “বালুচিস্তানের মাটি থেকে পাকিস্তানকে পুরোপুরি মুছে না ফেলা পর্যন্ত চলবে এই লড়াই।”