পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে প্রীতম দাশগুপ্তের (যিনি সৃঞ্জয় নামেও পরিচিত) আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্যের জট। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে বেড়ে ওঠা প্রীতম কলকাতার একটি আইটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন।
পার্টির পরেই মৃত্যু, উঠছে একাধিক প্রশ্ন
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বান্ধবী ও বন্ধুদের সঙ্গে একটি পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন ২৭ বছরের প্রীতম। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই আকস্মিক মৃত্যুর পর থেকেই পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে শোকের ছায়া। একইসঙ্গে উঠছে একাধিক প্রশ্ন—পার্টির পর কী ঘটেছিল? কীভাবে ঘটল এই মৃত্যু?
মা ও আত্মীয়দের শোকবিহ্বল অবস্থা
দুঃসংবাদ পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন প্রীতমের মা রিঙ্কু মজুমদার। হালিশহরে প্রীতমের জেঠু ও জেঠিমাও এই ঘটনায় স্তম্ভিত। জেঠিমা ঝর্ণা দাশগুপ্ত বলেন, “আমরা তো অবাক হয়ে গেলাম… বিয়ে পর্যন্ত ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আমরা চাই সত্যিটা জানি সবাই।”
তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রীতমের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল এবং তার মা-ও তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে এই মৃত্যুকে কেউই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না।
ময়নাতদন্তের অপেক্ষা, তদন্তে পুলিশ
নিউটাউনের আবাসনে প্রীতমের মৃত্যু ঘিরে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন কিছু পাওয়া না গেলেও, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
❓ কী বলছে প্রতিবেশী ও সূত্রের খবর
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রীতম একজন শান্ত ও সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন, পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভাল। তাই তার এমন অকাল মৃত্যু নিয়ে কেউই কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না।