ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের অগ্নিগর্ভ। পাকিস্তানের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘ফতেহ-১’ ভারতের আকাশসীমার দিকে আসতেই মাঝ আকাশে সেটিকে গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার পর থেকেই সীমান্তে আরও চাপে দুই দেশ।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম সীমান্ত বরাবর একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার জন্যই পাকিস্তান এই মিসাইল ছুড়েছিল। কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সঠিক সময়ে সেটিকে শনাক্ত করে ও ধ্বংস করে দেয়। এটি ছিল ‘ফতেহ-১’ নামের অত্যাধুনিক মিসাইল, যা ১৫০ কিমি পর্যন্ত নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
একাধিক শহরে বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলা
একইদিনে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ও শোরকোট শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। তবে কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা নিয়ে পাকিস্তান সরকার এখনও কিছু জানায়নি।
এদিকে, শুক্রবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ভারতের জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাটে চালানো হয়েছে ড্রোন হামলা। জম্মুর আওয়ান্তিপোরার বিমানঘাঁটি ছিল প্রধান টার্গেট। মোট ২৬টি শহর এই হামলার আওতায় আসে, যদিও ভারতীয় সেনা সফলভাবে অধিকাংশ ড্রোনকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।
সীমান্তে সজাগ প্রহরা, সাইবার নজরদারি জোরদার
সূত্রের খবর, জম্মু, সাম্বা, রাজৌরি, পাঠানকোট, বারমের, জয়সলমের, অমৃতসর এবং পোখরানে একাধিক ড্রোন দেখা গেছে। একইসঙ্গে, এলওসি বরাবর কুপওয়ারা, পুঞ্চ, উরি, নওগাম এবং হান্দওয়ারায় ভারী গোলাগুলির লড়াই চলছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
পাঠানকোট ও জম্মুতে টানা দ্বিতীয় রাতেও ব্ল্যাকআউট এবং এয়ার রেইড সাইরেন বাজানো হয়েছে। অমৃতসরে একসঙ্গে ১৫টি ড্রোন লক্ষ্য করা গেছে। ফলে ওই এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে।
কেন্দ্রের জরুরি সাংবাদিক বৈঠক
চলমান উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক বৈঠক ডাকছে। সম্ভাবনা, প্রতিরক্ষা নীতি, সাইবার নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে এই বৈঠকে। আন্তর্জাতিক মহলও ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের এই পর্ব গভীর নজরে রাখছে।