পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বড়সড় প্রত্যাঘাত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের এই সামরিক অভিযানে একাধিক জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। বুধবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানিয়ে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার পর প্রতিশোধ ছিল সময়ের দাবি। আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদ করেছি।”

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে একটি নিষ্ঠুর জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ হিন্দু পর্যটক। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তান-সমর্থিত লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরাই এই হামলার নেপথ্যে। এরপরই দিল্লির তরফে নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ।
অপারেশনের মূল বৈশিষ্ট্য:
- একযোগে আক্রমণ চালানো হয় ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে
- শিয়ালকোট, মেহমুনা জোয়া ও মারকাজ তৈবা ছিল প্রধান নিশানা
- ভারতীয় সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী একত্রে অপারেশনটি সম্পন্ন করে
- নির্দিষ্ট ভবন লক্ষ্য করে স্মার্ট অস্ত্র ব্যবহার করা হয় যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হয়

সেনার বক্তব্য:
কর্নেল কুরেশি বলেন, “পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। আমরা এবার স্পষ্ট বার্তা দিলাম, যদি নিরীহ মানুষের উপর হামলা হয়, তার জবাব হবেই।”
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া:
পাকিস্তান এই অভিযানের নিন্দা করে একে ‘সীমালঙ্ঘন ও যুদ্ধঘোষণা’ বলে মন্তব্য করেছে। তারা আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “এই প্রতিঘাত আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার।”
শেষকথা:
ভারতের এই অপারেশন একদিকে যেমন জঙ্গিদের মনোবল ভাঙার বার্তা, তেমনই আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের দ্বিচারিতা প্রমাণের একটি কৌশল। দেশের মানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার ও সেনার এই পদক্ষেপ সঠিক দিকেই এগোচ্ছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।