আগামীকাল, ৭ মে ২০২৫, ভারতের ২৪৪টি জেলার পাশাপাশি কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে একটি বৃহৎ নাগরিক প্রতিরক্ষা মহড়া। এই মহড়া দেশের নিরাপত্তা ও জরুরি পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি যাচাই করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে আয়োজিত হচ্ছে।
🔍 মহড়ার উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং পাকিস্তান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এই প্রেক্ষাপটে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকদের প্রস্তুতি ও সচেতনতা বাড়াতে এই মহড়ার আয়োজন করেছে।
🛡️ মহড়ায় কী কী থাকবে?
এই মহড়ায় নিম্নলিখিত কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
- বিমান হামলা সতর্কতা সাইরেন চালু করা
- ব্ল্যাকআউট বা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা অনুশীলন
- জরুরি অবস্থায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ও তার অনুশীলন
- নাগরিকদের প্রশিক্ষণ যাতে তারা সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে
- গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলির ছদ্মবেশ বা ক্যামোফ্লাজিং
এই মহড়া ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো এত বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
📍 পশ্চিমবঙ্গে মহড়ার স্থানসমূহ
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে কলকাতা, শিলিগুড়ি, আসানসোল, দুর্গাপুর, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
⚠️ নাগরিকদের জন্য নির্দেশনা
- মহড়ার সময় আতঙ্কিত না হয়ে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
- ব্ল্যাকআউট বা সাইরেন শোনার সময় শান্ত থাকুন এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।
- জরুরি পরিষেবা নম্বরগুলি হাতের কাছে রাখুন।
- স্কুল, কলেজ ও অফিসগুলি খোলা থাকবে; তবে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে।
🗣️ রাজনৈতিক অংশগ্রহণ
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তাদের সাংসদদের সাধারণ নাগরিক হিসেবে মহড়ায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
এই মহড়া নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে মহড়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে।