রাজ্য রাজনীতির এক পরিচিত মুখ, বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশেষে জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখলেন। ১৮ই এপ্রিল, বৈশাখী সন্ধ্যার গোধূলিলগ্নে, ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার-এর সঙ্গে।
💐 মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা ও উপহার
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশেষ দিনে সৌজন্য রক্ষা করলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে নবদম্পতিকে উপহার ও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয়। যদিও রাজনৈতিক মতভেদ দীর্ঘদিনের, তবু এই শুভক্ষণের মর্যাদা রাখতে ভদ্রতা বজায় রাখলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।
📸 বিয়ের কিছু মুহূর্ত
ঘরোয়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও বন্ধুরা। সংবাদমাধ্যমের সামনে খুব সংক্ষিপ্তভাবে বক্তব্য রাখেন দিলীপ ঘোষ।
🗣️ “আমি মিডিয়ার মাধ্যমে আমার সমস্ত শুভাকাঙ্খিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ কাম্য, যাতে পারিবারিক জীবনের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারি। পরিবারের সেবা, সমাজের সেবা, দেশের সেবা—সব সেবা যেন করতে পারি।”
কে এই রিঙ্কু মজুমদার?
রিঙ্কু মজুমদার বিজেপির মহিলা মোর্চার সক্রিয় নেত্রী। বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তার সম্পর্ক বা পরিচয়ের সময়কাল নিয়ে এখনও বিস্তারিত জানা না গেলেও, এই বিবাহ দুই রাজনৈতিক কর্মীর একত্রে পথ চলার প্রতীক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
🤔 বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া
এই বিবাহ নিয়ে মন্তব্য করতে ছাড়েননি বিজেপির প্রাক্তন নেতা তথাগত রায়। তিনি এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) লিখেছেন:
“কিন্তু দিলীপবাবু তো একজন সংঘ প্রচারক! এঁরা তো বিয়ে করেন না! এ কি সত্য?”
এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
শেষকথা
দীর্ঘদিন অবিবাহিত জীবন কাটিয়ে দিলীপ ঘোষ অবশেষে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। রাজনীতির কুশলী এই নেতার পারিবারিক জীবন সুখী ও সফল হোক – এটাই সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর কামনা। আর সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা যে সৌজন্যের বার্তা বহন করে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।