বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান বান্দ্রার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে গভীর রাতে, যখন এক অনুপ্রবেশকারী তার বাড়িতে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে।
ঘটনার সময় সাইফ আলি খানের বয়স ৫৪ এবং তিনি এখন লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি বিপদমুক্ত। এই ঘটনায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে অভিযুক্তকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাওয়ার সময় ক্যামেরার দিকে তাকাতে দেখা গিয়েছে।
VIDEO | Attack on Saif Ali Khan: CCTV footage shows the alleged attacker fleeing the building through staircase.
— Press Trust of India (@PTI_News) January 16, 2025
(Source: Third Party)#SaifAliKhanInjured pic.twitter.com/VHpAenxFdu
ঘটনার বিবরণ
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, অভিযুক্ত কোনও জোর করে প্রবেশ করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, সে রাতে কোনও এক সময় চুপিসারে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। বাড়ির গৃহপরিচারিকা প্রথমে চিৎকার করে বিষয়টি জানান, এবং এ সময় তিনিও সামান্য আহত হন।
সাইফ আলি খান গৃহপরিচারিকার চিৎকার শুনে বাইরে আসেন এবং অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। ঘটনার পরে সাইফ আলি খানকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকদের মতামত
লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাইফের শরীরে ছয়টি আঘাত রয়েছে। তার মধ্যে দুটি গুরুতর। পিঠের স্পাইন অঞ্চলে একটি ছুরি আটকে ছিল, যা অপসারণ করতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। তার বাম হাতে এবং গলায় গভীর ক্ষত রয়েছে, যা প্লাস্টিক সার্জারি দলের মাধ্যমে মেরামত করা হয়েছে।
ডাক্তাররা জানান, “সাইফ আলি খানের থোরাসিক স্পাইনে গুরুতর আঘাত লেগেছে। স্পাইনাল ফ্লুইড লিক মেরামত করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল, তবে এখন তিনি বিপদমুক্ত।”
পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনাকে “বাড়ি ভেঙে ডাকাতির প্রচেষ্টা” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং বান্দ্রা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী ৩১১ এবং ৩৩১ (৪) ধারা সহ আরও কিছু প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, “মুম্বাই দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহর। এ ধরনের ঘটনা কখনও কখনও ঘটে, কিন্তু শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সঠিক নয়। তবে, শহরকে আরও সুরক্ষিত করতে সরকার অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে।”
সাইফ আলি খান ছুরিকাঘাতের ঘটনা মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছে। যদিও তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল, এই ঘটনা শহরের নাগরিকদের মধ্যে ভয় এবং উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। প্রশাসনকে এমন ঘটনা রোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।