Ad_vid_720X90 (1)
Advertisment
আজকের উৎসব : সফলা একাদশী, সুখ ও সমৃদ্ধির এক পবিত্র দিন

আজকের উৎসব : সফলা একাদশী, সুখ ও সমৃদ্ধির এক পবিত্র দিন

সফলা একাদশী অর্থ এবং উপাসনা পদ্ধতি
পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিকে সফল একাদশী বলা হয়। “সফল” শব্দের অর্থ সফলতা, তাই এই তিথিতে উপবাস করলে জীবনের সমস্ত কাজে সাফল্য লাভ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই দিনে ভগবান অচ্যুতের পূজা করা হয়।

সফলা একাদশী ব্রত পালনের পূজা বিধি

সফল একাদশীতে উপবাসকারীদের ভগবান অচ্যুতের আরাধনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্রত পালনের বিধি হলো:

  1. দশমী তিথিতে একবার মাত্র সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করতে হবে এবং ব্রতের সমস্ত নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
  2. একাদশীর দিন স্নান করে ব্রত পালনের সংকল্প গ্রহণ করুন এবং ভগবানকে ধূপ, প্রদীপ, ফল এবং পঞ্চামৃত নিবেদন করুন।
  3. নারকেল, সুপারি, আমলকী, ডালিম, লবঙ্গ ইত্যাদি দিয়ে ভগবান অচ্যুতের পূজা করুন।
  4. একাদশীর রাত্রে ভগবান শ্রী হরির নাম নিয়ে ভজন ও জাগরণ করুন।
  5. দ্বাদশীর দিন গরিব মানুষ বা ব্রাহ্মণদের খাবার পরিবেশন এবং দান করুন। এরপর ব্রত সম্পন্ন করুন।

সফলা একাদশীর চারটি নিষেধ

● বিছানায় শোয়া নিষিদ্ধ, মাটিতে ঘুমাতে হবে।
● মাংস, মদ্যপান, রসুন এবং পেঁয়াজ এড়িয়ে চলুন।
● একাদশীর সকালে দাঁত মাজার প্রথা নেই।
● কোনো গাছের পাতা বা ফল ছেঁড়া নিষিদ্ধ।

সফলা একাদশীর গুরুত্ব

ধর্মশাস্ত্রে সফল একাদশীর গুরুত্ব উল্লেখিত হয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরের কথোপকথনে। বলা হয়, এক হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ করেও যে ফল পাওয়া যায় না, সফল একাদশীতে উপবাস করলে তা অর্জিত হয়। এই দিন ব্রত করলে জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর হয়, সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায় এবং ইচ্ছা পূর্ণ হয়।

সফলা একাদশীর পেছনের গল্প

প্রাচীনকালে মহিষ্মত নামে একজন রাজা চম্পাবতী নগর শাসন করতেন। তার চার ছেলে ছিল, তাদের মধ্যে লুম্ভক ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং অসাধু। রাজা তার খারাপ কাজের জন্য তাকে রাজ্য থেকে বহিষ্কার করেন। এরপরও লুম্ভক তার মন্দ অভ্যাস ছাড়তে পারেনি।

একবার তিন দিন ধরে সে খাবার পায়নি। ঘুরতে ঘুরতে সে এক সাধুর কুঁড়েঘরে পৌঁছায়। সেদিন ছিল সফল একাদশী। সাধু তাকে স্বাগত জানিয়ে খাবার দেন। সাধুর আচরণ লুম্ভককে বদলে দেয়। সাধুর পায়ে পড়ে সে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তার শিষ্য হয়ে যায়। ধীরে ধীরে লুম্ভকের চরিত্র উন্নত হয়।

একদিন সাধু তার প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করেন। তিনি আর কেউ নন, তার পিতা ছিলেন। এরপর লুম্ভক রাজ্যের দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করেন এবং আমৃত্যু সফল একাদশী ব্রত পালন করেন।



Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
error: Content is protected !!