নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাওড়া থেকে এবার একেবারে সরাসরি বাঁকুড়া পৌঁছে যাওয়ার সুবিধা পাচ্ছেন যাত্রীরা। লোকাল ট্রেন পরিষেবায় এবার থেকে বাঁকুড়া পৌঁছাতে হবে না আর খড়গপুর ঘুরে। মশাগ্রাম হয়ে এই নতুন রেলপথে যাত্রার মাধ্যমে ২৩১ কিলোমিটারের পথ কমে ১৮৫ কিলোমিটার হয়ে যাচ্ছে। এতে বাঁকুড়ার পাশাপাশি বিষ্ণুপুর ও মুকুটমণিপুর পর্যটনক্ষেত্রে যাতায়াতও অনেকটাই সহজ হবে।
মশাগ্রামে নন-ইন্টারলকিং ও শক্তিগড় পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিংয়ের কাজের জন্য আগামী ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত কিছু ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। এই প্রকল্পের সফল সমাপ্তি হলে হাওড়া-বাঁকুড়া রুটে ট্রেন ১১০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে। তবে মশাগ্রাম থেকে সিঙ্গল লাইন ব্যবস্থার কারণে কিছুটা সময়ের তারতম্য ঘটতে পারে। এই রুটে যাত্রীদের সুবিধার্থে মশাগ্রামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্মও গড়ে তুলেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
নতুন সিগন্যালিং ব্যবস্থায় শক্তিগড় পর্যন্ত ৭৫ মিটার দূরত্বে ট্রেন চলাচল করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেছে রেল। এই কাজের জন্য কর্ড ও মেন শাখায় আটজোড়া দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হবে। এছাড়াও আটজোড়া দূরপাল্লার ট্রেন ঘুরপথে চলাচল করবে। ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলের তালিকায় থাকবে।
প্রথম দিনে কর্ড শাখায় ১১টি আপ ও ১২টি ডাউন ট্রেন বাতিল হবে এবং মেন শাখায় ১৫টি আপ ও ১৪টি ডাউন ট্রেন বাতিল থাকবে। দ্বিতীয় দিনে কর্ড শাখায় ১৫টি আপ ও ১৭টি ডাউন ট্রেন বাতিল হবে, এবং মেন শাখায় আপে ১৮টি ও ডাউনে ১৬টি ট্রেন বাতিল হবে। শেষ দিনে কর্ড শাখায় ১৪টি আপ ট্রেন এবং মেন শাখায় ১৬টি আপ ও ১৮টি ডাউন ট্রেন বাতিল হবে।
হাওড়া থেকে বাঁকুড়া রুটে চলমান নতুন এই লোকাল ট্রেন পরিচালনা করবে পূর্ব রেল। মশাগ্রাম থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আওতায় থাকলেও, পূর্ব রেলের হাওড়া কারসেড থেকে এই ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে বলে জানিয়েছেন আদ্রার ডিআরএম সুমিত নারুলা।
এই নতুন রুটের মাধ্যমে যাত্রীরা এবার আরও স্বল্প সময়ে, স্বল্প কষ্টে বাঁকুড়া পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।