১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪: জল, খাবার, ওআরএস, বিস্কুট—এভাবেই সাধারণ মানুষ হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সাহায্য করতে। সবাই যে কাছের বাসিন্দা, তা নয়। কেউ এসেছেন গড়িয়া থেকে, কেউ মুকুন্দপুর থেকে, আবার কেউ কলেজ স্কোয়ার বা সিঁথি থেকে। সবাই এসেছেন একটাই দাবিতে, আর তা হল—’আরজি কড়ের জন্য ন্যায় চাই’। নিজেদের দায়িত্বে বেঁধে থাকতে না পারলেও, যাঁরা দিনের পর দিন এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তাঁরা—’আমরা একসঙ্গে আছি, আমাদের একটাই লক্ষ্য—বিচার চাই।’

একইভাবে, পঞ্চম শ্রেণির এক ছোট্ট ছাত্রও মঙ্গলবার রাতে তার মায়ের সঙ্গে এসে হাজির হয় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। তার ইচ্ছা ছিল, জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য খাবার নিয়ে আসার। সেইমতো তার ছোট্ট ব্যাগে করে খাবার নিয়ে এসে ডাক্তারদের মধ্যে বিতরণ করতে থাকে সেই খুদে।

এছাড়াও, রাজাহাটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও সাধারণ মানুষ এসেছেন। তাঁদের যার যা সামর্থ্য, সেই অনুযায়ী খাবার নিয়ে এসেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের রাতের খাবারের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন তাঁরা। এতে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন রেডিয়ো জকি অগ্নিও। তিনি বলেন, “রাজারহাটের গ্রামের মানুষজন নিজেদের ইচ্ছায়, নিজেদের খরচে আমাদের রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এটাই মানুষের উৎসব।”
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাস থেকেও আন্দোলনরত ডাক্তারদের জন্য খাবার এসেছে। যাদবপুরের পক্ষ থেকে বার্তা এসেছে—’আমরা তোমাদের পাশে আছি’। এক ছাত্র বলেন, “আমরা দুপুর থেকে যাদবপুর ক্যাম্পাসে রান্না করছি, যাতে যতটুকু সম্ভব এই আন্দোলনকে সমর্থন করতে পারি। আমরা চাই, এই আন্দোলন যেন থেমে না যায়।” একইভাবে এসএসকেএম হাসপাতালের ক্যান্টিন থেকেও খাবার এসে পৌঁছেছে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে।
এছাড়া, অনলাইন ডেলিভারি এজেন্টরাও তাঁদের সমর্থন জানাতে এসেছেন। সোমবার রাতে কয়েকজন মিলে জল, বিস্কুট নিয়ে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, “এই আন্দোলন চালিয়ে যেতেই হবে। আমরা ডাক্তারদের পাশে আছি।” এছাড়া, একজন দোকানদার নিজের দোকান থেকে বিনামূল্যে জলের বোতল বিতরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন এক আন্দোলনকারী।