জয়রামবাটীতে কোনও দিন ভক্ত না এলে মা ব্যাকুল হয়ে বলতেন ‘ভক্তেরা কেউ তো এল না।’ এক দিন স্বামী গৌরীশানন্দ শুনলেন মা পায়ের বাতের ব্যথায় কাতর হয়েও ঠাকুরকে লক্ষ্য করে বলছেন:
আজও দিনটা বৃথাই গেল। একজনও তো এল না! তুমি না বলেছিলে, তোমাকে নিত্যই কিছু না কিছু করতে হবে?’
এই বলে মা বারবার ঘর বার করে বলছেন:
‘কই, ঠাকুর, আজকের দিনটা কি বৃথা যাবে?’
পাপীতাপী সকলকে অবাধ কৃপা বিতরণের কারণ মা এই ভাবে বলেছিলেন
‘কেন গো, ঠাকুর কি খালি রসোগোল্লা খেতেই এসেছিলেন?”
বিদেশি ভক্তদের প্রসঙ্গে একদিন তিনি স্বামী গিরিজানন্দকে বলেছিলেন:
দেখ, ঠাকুরের প্রায়ই সমাধি হত। একদিন অনেক্ষণ পরে সমাধি ভাঙলে বললেনঃ “দেখগা! আমি একদেশে গেছলুম-সেখানকার লোক সব সাদা সাদা। আহা, তাদের কী ভক্তি!” তখন কি বুঝতে পেরেছিলুম এই গুলি বুলরা সব ভক্ত হবে? আমি তো ভেবে অবাক, সাদা সাদা মানুষ আবার কী?'”

উদ্বোধনে মায়ের বাড়িতে পাশাপাশি দুটি ঘরে একটিতে বেদির ওপরে ঠাকুর ও অন্যঘরে মা ও রাধুর থাকার ব্যবস্থা হয়। মা তা দেখে বলেন:
ঠাকুরকে ছেড়ে আমার থাকা চলে না, থাকা উচিতও নয়।’

কামারপুকুরে মা একদিন ভাবে দেখেন ঠাকুর সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন- পেছনে ভক্তবৃন্দ, আর ঠাকুরের পাদপদ্ম থেকে গঙ্গা প্রবাহিত হচ্ছে। পরে যোগেন মা কামারপুকুরে গেলে মা; তাঁকে এই দর্শনের কথা বলে বলেন:
‘ঐ অশ্বথ গাছের গোড়ায় ঠাকুর তখন দাঁড়িয়েছিলেন। শেষে দেখলুম, ঠাকুর নরেনের দেহে মিলিয়ে গেলেন!…. এখানকার ধূলি খাও, প্রণাম কর।