কলকাতাঃ নিরাপত্তার আশঙ্কার কথা জানিয়ে গতকালের ডুরান্ড কাপের কলকাতা ডার্বি বাতিল করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি ছিল যে ম্যাচে নাশকতার ছক হানা হচ্ছিল। কিন্তু ডার্বি ভেস্তে গেলেও যুবভারতীর সামনে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, এবং মহামেডান—এই তিন প্রধানের সমর্থকেরা আর জি কর কাণ্ডে ন্যায়বিচার দাবিতে রাস্তায় নামেন। প্রতিবাদে ধস্তাধস্তির পর, পুলিশ যুবভারতীর সামনে জমায়েত ভাঙতে লাঠিচার্জ করে। বেশ কিছু প্রতিবাদকারী সমর্থককে আটক করা হয়।

তবে, সমর্থকরা যুবভারতীর সামনে প্রতিবাদ থামাননি। প্রিজন ভ্যানের সামনে বসেও তারা নিজেদের অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন। শেষমেশ পুলিশ আটক করা সমর্থকদের ছাড়ে। বৃষ্টি ও পুলিশের অতিসক্রিয়তা সত্ত্বেও, সমর্থকরা নিজের প্রতিবাদে অনড় ছিলেন। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত যুবভারতীর সামনে তারা নিজেদের অবস্থান বজায় রাখেন।

একদিকে পুলিশ নেই বলে ম্যাচ বাতিল করা হলেও, সমর্থকদের প্রতিবাদ ঠেকাতে এত পুলিশ কোথা থেকে এল, এই প্রশ্ন তুলে সমর্থকরা। আর জি কর ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে তিন প্রধানের সমর্থকদের সঙ্গে পথে নামেন শুভাশিস বসু। মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসুর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাগদত্তা কস্তুরি ছেত্রীও।

সমর্থকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি, দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবিতে আওয়াজ তোলেন শুভাশিস। প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন টলিপাড়ার পরিচিত মুখ ঊষসী চক্রবর্তীও।

সমর্থকদের প্রতিবাদে পথে দেখা যায় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবেকেও।

তিনি কলকাতা ম্যাচ বাতিলের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং মাইকিং করে জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।