মিলেনিয়াল ও জেন–জির ফ্যাশন দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। এর শুরু বছর দুই আগে। এই যুদ্ধ আবার শুরু হয়েছে নতুন করে। এবার মোজা নিয়ে।
কারা মিলেনিয়াল আর কারা জেন–জি?
মিলেনিয়াল এবং জেন–জি বলতে ঠিক কাদের বোঝানো হচ্ছে, সেটা আগে স্পষ্ট করে নিই। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে যাদের জন্ম, তারা মিলেনিয়াল। আর ১৯৯৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীরা জেনারেশন জেড বা জেন–জি নামে পরিচিত। যদিও এই দুই প্রজন্মের মধ্যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব প্রায় একই রকম, তারপরেও কিছু পার্থক্য আছে। তবে কেউ ভাবেনি যে এই পার্থক্যটি ফ্যাশনের ক্ষেত্রে এমনভাবে প্রকট হয়ে উঠবে।

ফ্যাশন নিয়ে শুরু হলো যুদ্ধ
মজার ব্যাপার হলো, জেন–জি যেসব ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে মাতামাতি করছে, তার অনেকগুলোই ফ্যাশনের জগতে এসেছে মিলেনিয়ালদের হাত ধরে। ২০২২ সালে শুরু হয় এই ফ্যাশন যুদ্ধ, যখন জেন–জি প্রজন্মের দুই টিকটকার, জুলিয়া এল এবং এমিলি কোলম্যান, স্কিনি জিনস নিয়ে মজা করে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে স্কিনি জিনস বাতিলের ক্যাম্পেইন শুরু হয়, যা মূলত জেন–জিদের প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়। তাদের অভিযোগ এখানেই থেমে থাকেনি; মিলেনিয়ালদের চুলের স্টাইলও তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

মোজা নিয়ে নতুন বিতর্ক
এবার এই বিতর্কে নতুন সংযোজন হলো মোজা। মিলেনিয়ালরা সাধারণত অ্যাংকেল সকস বা গোড়ালি সমান মোজা পরতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে, জেন–জিরা লম্বা ক্রু সকস পরতে পছন্দ করে, যা তাদের ফ্যাশন স্টেটমেন্টের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রু সকস বিভিন্ন ডিজাইনের হয়ে থাকে এবং পোশাকের সঙ্গে মিক্স বা ম্যাচ করা যায়। অনেক জেন–জি প্রজন্মের কাছে মোজা এখন আর কোনো ছোটখাটো অনুষঙ্গ নয়, বরং একটি আলাদা পোশাকের অংশ।

ক্রু সকসের পুনরুত্থান
জেন–জিদের প্রিয় ক্রু সকস কিন্তু নতুন কিছু নয়। নব্বই দশকে মিলেনিয়ালরাই প্রথম এই ফ্যাশনটি জনপ্রিয় করেছিলেন। বর্তমান ক্রু সকসের ট্রেন্ড সেই সময় থেকেই এসেছে। তাই ক্রু সকস নিয়ে জেন–জিরা যতই মাতামাতি করুক না কেন, আসলে এর উৎস কিন্তু মিলেনিয়ালদের মধ্যেই রয়েছে।

ফ্যাশনের পরিবর্তন, কিন্তু স্টাইল চিরস্থায়ী

ফ্যাশন ট্রেন্ড সবসময়ই পরিবর্তনশীল। নতুন কোনো ট্রেন্ড এলে মানুষ তাদের রুচি এবং স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী সেটি গ্রহণ করে। এটি শুধু একটি নির্দিষ্ট প্রজন্মের জন্য নয়, সবার জন্যই প্রযোজ্য। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে—ট্রেন্ড আসবে–যাবে, কিন্তু স্টাইল চিরস্থায়ী। বয়স ও অভিজ্ঞতার কারণে বেশির ভাগ মিলেনিয়াল এখন নিজেদের স্টাইল স্টেটমেন্টকে মেনে চলার ব্যাপারে বেশি সচেতন এবং সেখানেই তারা খুশি।