বিশ্বজুড়ে হ্যালোইন উদযাপন: ভৌতিক উৎসবের নানা রঙ

হ্যালোইন উৎসব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক ভিন্ন ভিন্ন রূপে উদযাপিত হয়, যা শুধু ভৌতিক নয়, বরং সংস্কৃতির অনন্য মেলবন্ধনের প্রতিফলন ঘটায়। ইউরোপ থেকে আমেরিকা, এশিয়া থেকে আফ্রিকা – প্রতিটি দেশের মানুষ একে নিজের আঙ্গিকে উপভোগ করেন। নিচে উল্লেখ করা হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হ্যালোইন উদযাপনের বৈচিত্র্য।
১. আমেরিকা
আমেরিকায় হ্যালোইন হলো এক বিশেষ উদযাপনের সময়। অক্টোবরের শেষের দিনটি শিশু থেকে বয়স্ক সবাই একসঙ্গে উদযাপন করেন। বাচ্চারা অদ্ভুত অদ্ভুত পোশাক পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে “ট্রিক অর ট্রিট” খেলে ক্যান্ডি সংগ্রহ করে। বড়দের জন্য আয়োজন করা হয় নানা ধরনের কস্টিউম পার্টি এবং আতঙ্কজনক ভৌতিক বাড়ি পরিদর্শন।
২.
দীপাবলিতে কুকুরের আরাধনা: ভিন্ন রীতিতে নেপালি সম্প্রদায়ের অভিনব উৎসব

বাঙালির কালীপুজোর পাশাপাশি নেপালি সম্প্রদায়ে পালিত হচ্ছে এক বিশেষ ঐতিহ্য—”কুকুর তেওহর,” যেখানে পরিবারের প্রিয় সারমেয়দের দেবত্বে অভিষিক্ত করে পুজো করা হয়। নেপাল এবং ভারতীয় নেপালি সম্প্রদায়ের এই বিশেষ উৎসবে সারমেয়দের গলায় মালা পরানো, তিলক দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
আলোর উৎসবের সঙ্গেই কুকুর পুজোর এক ঐতিহ্য
দীপাবলির আলোর রোশনাই যখন চারদিকে ছড়িয়েছে, তখন নেপালের মানুষ উদযাপন করছেন কুকুরের উৎসব, কুকুর তেওহর। এই দিনে নেপালিরা বিশ্বাস করেন যে, কুকুর ভগবান ভৈরবের বাহন এবং তাঁর অনুগত সঙ্গী। তাই দেবভক্তিতে অভিষিক্ত করতেই কুকুরদের স্নেহ, সম্মান আর পূজায় সজ্জিত করা হয়।
পুরোহিতের আর্শীবাদ ও কুকুরদের প্রিয় খাবার
নরক চতুর্দশী: মহাকাব্যের আলোকে অশুভ শক্তি বিনাশের পরম্পরা

নরক চতুর্দশী কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত একটি বিশেষ পূজা, যা চতুর্দশী, রূপ চতুর্দশী এবং কালী চতুর্দশী নামেও পরিচিত। এটি মূলত মৃত্যু ও যমরাজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য পালন করা হয়। দীপাবলির একদিন আগে পালিত হওয়ায় এই দিনটিকে ছোটো দীপাবলি নামেও অভিহিত করা হয়। এই দিনে সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানোর মাধ্যমে দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। যমরাজের পুজোর মাধ্যমে জীবনের দীর্ঘায়ু ও স্বাস্থ্য কামনা করা হয়, সেইসঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়।
নরক চতুর্দশীর ঐতিহ্য ও পালন পদ্ধতি
প্রথা অনুযায়ী, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ভোরের আলো ফুটবার আগেই