১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ঃ পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর। দীর্ঘ ৩ মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও জাতীয় উদ্যান। এবার পর্যটকরা আবারও গোরুমারা, চাপরামারি, জলদাপাড়া, বক্সা-সহ সব বনাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে রাত্রিবাসের জন্য বনবাংলোগুলি বুক করারও সুযোগ থাকছে। ইতিমধ্যেই বনদপ্তর সরকারি বনবাংলোগুলির অনলাইন বুকিংয়ের ব্যবস্থা চালু করেছে। এছাড়া, হাতি সাফারি এবং জঙ্গল সাফারির ক্ষেত্রেও আর কোনও বাধা নেই, তাই পুজোর ছুটিতে যারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে যেতে চান, তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ।
প্রতি বছর ১৫ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টি বন্যপ্রাণীদের প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়। এই সময়ে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা হয় যাতে বন্যপ্রাণীরা নিশ্চিন্তে প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। এবার সেই তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায়, সোমবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বনাঞ্চলগুলি।
পুজোর সময় দীর্ঘ ছুটিতে যারা বনাঞ্চলে যেতে চান তাদের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মূর্তি ও চালসা অঞ্চলে সাফারির জন্য ব্যবহৃত জিপসি গাড়িগুলি পরীক্ষা করা হয়েছে। গোরুমারার এডিএফও রাজীব দে নিজেই এই গাড়িগুলির কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। এছাড়া সাফারিতে ব্যবহৃত কুনকি হাতিগুলির স্বাস্থ্য সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।
পর্যটকদের সুবিধার্থে এবার গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে কুনকি হাতির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও চাপরামারি ও গোরুমারা জাতীয় উদ্যানে বনবাংলো খুলে দেওয়া হলেও, ইকো ট্যুরিজম রিসর্টগুলি আপাতত খোলা হচ্ছে না। অগ্নি নির্বাপণ সংক্রান্ত কাজ চলার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।