পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি কোণায় বড় পর্দার আবেগ ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকারে এসভিএফ সিনেমাস আরও একধাপ এগিয়ে গেল। হাওড়া ময়দানে তাদের নতুন প্রাঙ্গণে সম্প্রতি উদযাপিত হলো ‘বহুরূপী’ সিনেমার অসামান্য সাফল্য। এসভিএফ সিনেমাসের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি ₹২ কোটি আয় করেছে, যা তার সর্বভারতীয় ₹১৫ কোটির সংগ্রহের একটি বড় অংশ।

এই অনুষ্ঠান শুধু ছবিটির সাফল্যের কাহিনীকে তুলে ধরেনি, বরং বাংলার চলচ্চিত্র সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবিত করার এসভিএফ সিনেমাসের প্রতিশ্রুতিও নতুন করে তুলে ধরেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘বহুরূপী’র প্রখ্যাত পরিচালক নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, প্রধান অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়, সুরকার বনির চক্রবর্তী, এবং গায়িকা শ্রেষ্ঠা দাস। শ্রেষ্ঠা প্রথমবারের মতো প্লেব্যাক করেছেন এবং “ডাকাতিয়া বাঁশি”, “তুই আমাদের হয়ে যা”, ও “শিমুল পলাশ” এর মতো হিট গান উপহার দিয়েছেন।
কেক কাটার মাধ্যমে উদযাপন এবং সন্মাননা প্রদান
হাউসফুল দর্শকদের সামনে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এর পর এসভিএফ সিনেমাসের পক্ষ থেকে এক আবেগঘন সন্মাননা অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। পরিচালক নন্দিতা রায় বলেন, “বহুরূপী’র প্রতি দর্শকদের এত ভালোবাসা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। এটি প্রমাণ করে বাংলা সিনেমার শক্তি এবং আমাদের দর্শকদের আবেগ।”

শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যোগ করেন, “একটি সিনেমা যখন দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়, তখন সেটিই আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার। এসভিএফ সিনেমাসের বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা সারা বাংলার মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি। হাওড়া ময়দানের নতুন প্রাঙ্গণ সেই সংযোগ আরও শক্তিশালী করবে।”

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ১৮টি জেলায় এসভিএফ সিনেমাসের উপস্থিতি
এসভিএফ সিনেমাসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রুদ্র প্রসাদ দাও জানান, “হাওড়া ময়দানে আমাদের ২২তম প্রাঙ্গণ এবং ৪৬, ৪৭, ৪৮তম স্ক্রিন খুলে আমরা পশ্চিমবঙ্গের ২৩টির মধ্যে ১৮টি জেলায় পৌঁছে গেছি। এটি আমাদের রাজ্যের বৃহত্তম সিনেমা নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।” তিনি আরও জানান, “১৬টি নতুন স্ক্রিন নির্মাণের কাজ চলছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু সম্প্রসারণ নয়, বাংলার সিনেমার স্বর্ণযুগ পুনরায় ফিরিয়ে আনা, যখন রাজ্যে ৮০০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহ ছিল।”
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং দর্শকদের জন্য বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা
হাওড়া ময়দানের এসভিএফ সিনেমাস অত্যাধুনিক ২কে ও ৩ডি প্রজেকশন, ডলবি ৭.১ সাউন্ড সিস্টেম এবং আরামদায়ক আসনের মাধ্যমে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করেছে। এখানকার বিশেষ খাবারের মেনু এবং সাজানো পরিবেশ দর্শকদের কাছে প্রতিটি ভিজিটকে স্মরণীয় করে তুলবে।

‘বহুরূপী’র অসাধারণ সাফল্য এবং হাওড়া ময়দানে এসভিএফ সিনেমাসের নতুন প্রাঙ্গণের উদ্বোধন একসঙ্গে বাংলার সিনেমা ও দর্শকদের জন্য নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এসভিএফ সিনেমাস দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বড় পর্দার জাদু বাংলার প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিয়ে আঞ্চলিক গল্প বলার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করা সম্ভব।