১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪: শনিবার সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের আগের রাতেই, সেক্টর ফাইভের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার উদ্যোগে, গোটা এলাকায় ১৪টি নতুন সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। শুক্রবার রাতে এই কাজ শেষ হয়। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখন আরও বাড়ানো হবে ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মামলার শুনানির পরেও এই ধর্না কবে উঠবে তা স্পষ্ট নয়। সেই কারণেই জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ভবনের চারপাশে আরও সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটির কাছে এই বিষয়ে পুলিশের চিঠি পৌঁছেছে। সূত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবারের মধ্যেই নির্দেশ আসতে পারে।
আরজি কর ইস্যুর পর থেকেই স্বাস্থ্য ভবন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের উদ্বেগ বেড়েছে। গত এক মাস ধরে একাধিক মিছিল এবং টানা ধর্নার ফলে এলাকাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আগের নজরদারি ক্যামেরাগুলিকেও আবার সক্রিয় করতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। নবদিগন্তের এক কর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকেই নতুন সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন এলাকায় বরাবরই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। আগে থেকেই এখানে সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল। এখন সেগুলির কার্যক্ষমতা যাচাই করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে নতুন ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে সিসি ক্যামেরার সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়ে যাবে।’’
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এলাকায় ২৭৬টি সিসি ক্যামেরা সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে, স্বাস্থ্য ভবন এলাকায় লাগানো ৫১টি পুরনো ক্যামেরাকে দ্রুত পুনঃসক্রিয় করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবনের বাইরেও সেক্টর ফাইভের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে নবদিগন্ত উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘এই এলাকায় আমরা এবার অটোমেটিক নাম্বার প্লেট রেকগনিশন ক্যামেরা বসাবো। এর মাধ্যমে এলাকার নিরাপত্তা আরও মজবুত হবে। এই ক্যামেরাগুলি গাড়ির নম্বর প্লেট শনাক্ত করে ছবি তুলে রাখবে।’’ তবে আপাতত স্বাস্থ্য ভবন এবং ধর্না মঞ্চের এলাকাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।