স্ট্রোক করলে রক্ষা নেই!
স্ট্রোককে মৃত্যুর চতুর্থ কারণ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। স্ট্রোক হঠাৎ করে হলেও এর পূর্বে শারীরিক কিছু সমস্যা লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়। অনেকেই এসব লক্ষণকে অবহেলা করেন, ফলে স্ট্রোক হলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।
স্ট্রোক কী?
মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে এবং সেই অংশের কোষ নষ্ট হলে তাকে স্ট্রোক বলা হয়। মস্তিষ্ক শরীরের রক্তের মাত্র দুই শতাংশ ব্যবহার করে, কিন্তু মস্তিষ্কের কোষসমূহ অত্যন্ত সংবেদনশীল। অক্সিজেন বা শর্করার সরবরাহে সমস্যা হলে দ্রুত এই কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। স্ট্রোক দুই ধরনের হতে পারে: ইসচেমিক স্ট্রোক (আঞ্চলিকভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়া) এবং হেমোরেজিক স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ)।
লক্ষণ বা উপসর্গ
চিকিৎসকদের মতে, স্ট্রোক খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। এজন্য নিজের শরীরকে বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রোকের পূর্বে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। এজন্য একে ‘ফাস্ট’ বলা হয়:
- F (Face): মুখের একপাশ ঝুলে যাবে।
- A (Arm): দুই হাত সমানভাবে উঁচু করা সম্ভব হবে না।
- S (Speech): কথা বলার সময় অস্পষ্টভাবে বলবে।
- T (Time): দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
ফাস্ট থিওরি
১. মুখে স্ট্রোকের লক্ষণ প্রথম প্রকাশ পায়, মুখের একপাশ ঝুলে যায়।
২. দুই হাত সমানভাবে উঁচু করা সম্ভব হয় না, এক হাত নিচু থাকে।
৩. কথা বলার সময় অস্পষ্টভাবে বলা, কথা জড়িয়ে যাওয়া।
৪. এই লক্ষণগুলির মধ্যে কিছু প্রকাশ পেলে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন।
স্ট্রোকের কারণ
- স্ট্রোকের পূর্বে ব্যক্তি চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করে।
- মাথা ঘোরা, অবসাদ, মাথা ব্যথা, ভারসাম্য রক্ষা করতে সমস্যা হওয়া এবং অতিরিক্ত দুর্বলতা বোধ করা স্ট্রোকের পূর্বাভাস।
দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সকে বা হাসপাতালে ফোন করে কী বলবেন?
- প্রথমে বলবেন ‘স্ট্রোক’ এবং ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তা জানাবেন বা এসএমএস পাঠাবেন।
- অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই টাইট পোশাক খুলে ফেলুন।
- আপনার শারীরিক সমস্যা গুলো কাগজে লিখে রাখুন।
- স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে শারীরিক কসরত করুন, ধূমপান পরিহার করুন। উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং বংশগতভাবে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকলে সতর্ক থাকুন।