ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া। প্রখ্যাত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল আর নেই। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার পাশাপাশি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পরিচালকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর কন্যা পিয়া বেনেগাল।
মাত্র কয়েকদিন আগেই, ১৪ ডিসেম্বর, শ্যাম বেনেগাল তাঁর ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন। সেই দিনটি পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে কাটান। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলভূষণ খরবন্দা, নাসিরুদ্দিন শাহ, দিব্যা দত্ত, শাবানা আজ়মি, রজিত কপূর, অতুল তিওয়ারি এবং শশী কপূরের পুত্র কুণাল কপূর।
শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও, শ্যাম বেনেগাল কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সপ্তাহে তিনদিন তাঁকে ডায়ালিসিসের জন্য হাসপাতালে যেতে হত। তবুও তাঁর ছবির কাজ থামেনি। ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ এ নেশন’ ছিল তাঁর শেষ পরিচালিত ছবি।
শ্যাম বেনেগাল ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে বহু সম্মানে ভূষিত। ১৯৭৬ সালে পদ্মশ্রী, ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ এবং দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি।
১৯৩৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের এক কোঙ্কনি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শ্যাম বেনেগাল। মাত্র বারো বছর বয়সে বাবার দেওয়া ক্যামেরা দিয়ে প্রথম ছবি তৈরি করেছিলেন। হায়দরাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর, হায়দরাবাদ ফিল্ম সোসাইটি থেকে তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাণের যাত্রা শুরু হয়।
‘মন্থন’, ‘জুনুন’, ‘আরোহন’, ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো’, ‘ওয়েল ডান আব্বা’, এবং ‘মাম্মো’-এর মতো অমর চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। শ্যাম বেনেগালের অবদান ভারতীয় চলচ্চিত্রকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে।