Ad_vid_720X90 (1)
Advertisment
শীতের আগমনে বিজ্ঞাপনী দুনিয়ায় মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, প্রথমবারের অভিজ্ঞতায় সোনাক্ষীর অনুরোধে বললেন ‘আমায় রান্না করে খাওয়াও’

শীতের আগমনে বিজ্ঞাপনী দুনিয়ায় মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, প্রথমবারের অভিজ্ঞতায় সোনাক্ষীর অনুরোধে বললেন ‘আমায় রান্না করে খাওয়াও’

কলকাতা, ২৫ অক্টোবর ২০২৪: শীতের আগমন মানেই বিনোদন দুনিয়ায় নানান উৎসাহ। তার মধ্যেই চমক দিয়ে ফিরে এসেছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। প্রথমবারের মতো কোনও বিজ্ঞাপনী ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। এই বিশেষ ছবির পরিচালক অভিজিৎ শ্রীদাস জানালেন, “তরুণ মজুমদারের হাত ধরে অভিনয়ে আগমন, সেই সৌভাগ্যই যেন বিজ্ঞাপনী ছবিতে এনে পূরণ করতে পারলাম।”

দীর্ঘ বিরতির পর তিনি যখন আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন, তখন তাঁর মেজাজ আগের মতোই প্রাণবন্ত। “আমার মনমতো চরিত্র দিন, তবে অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছে আমার আছে। চরিত্রে যেন থাকে মজার ছোঁয়া, ঘরোয়া ভাব, এবং গভীরতা।” তাঁর হাসি যেন আগের মতোই ঝিলিক দেয়, হাসি মুখে চওড়া হাসি দিয়ে সে সেটের সবাইকে মাতিয়ে রাখেন।

শীতের আগমনে বিজ্ঞাপনী দুনিয়ায় মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, প্রথমবারের অভিজ্ঞতায় সোনাক্ষীর অনুরোধে বললেন ‘আমায় রান্না করে খাওয়াও’

এই ছবির শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পরিচালকের বক্তব্য, ছবিতে সোনাক্ষী সিংহ ও মৌসুমী দুজনেই তাদের নিজস্ব চরিত্রে ধরা দেবেন। সোনাক্ষী এক রন্ধন শো-এর সঞ্চালিকা হিসেবে, আর অতিথি হিসেবে আসবেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। সাধারণত শোতে অতিথিরা সঞ্চালিকাকে রাঁধার জন্য অনুরোধ করেন, কিন্তু মৌসুমী সবসময় একটু আলাদা। তাই সোনাক্ষীকে তিনি সরাসরি বললেন, ‘তুমি আমায় রান্না করে খাওয়াও!’ এই চরিত্রগুলিকে আরও সুন্দর করে তুলতে মৌসুমীকে দেখা যাবে সোনালি ও পিচ রঙের টিস্যু শাড়িতে, আর সোনাক্ষীকে লাল পোশাকে।

সদ্য শুটিংয়ের কাজ শেষ করেই, মৌসুমী জানালেন, আজকের প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করতে তাঁর ভালোই লাগে। তাঁর মতে, নতুন প্রজন্মকে দিয়ে তিনি অনেক কিছু শিখছেন এবং তারাও তাঁকে সম্মানের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। অভিজিৎ জানালেন, মুম্বইয়ের এই ধরনের কাজ সত্যিই তাকে ভরসা যোগায়, কারণ সেখানে কাজের পরিবেশে সবার মধ্যে একধরনের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।

ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন বিখ্যাত সিনেমাটোগ্রাফার নিখিল আরলকর, যিনি ‘গুল্লাক’ সিরিজের কাজের জন্য পরিচিত। এই ছবির কাজ করতে গিয়ে মৌসুমী নিজের দৈনন্দিন জীবন ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মুখ খোলেন। যদিও তিনি নিয়মিত খবর পড়েন এবং সংবাদ দেখে থাকেন, দুই বাংলার বর্তমান অবস্থা তাঁকে ভাবায়। রাজনীতিতে ফেরার প্রসঙ্গে পরিচালক জানিয়েছেন, ‘এ বিষয়ে তাঁর নিজের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’

বয়সের পরিবর্তন যেমন দেহে ছাপ ফেলেছে, তেমনই তাঁর মনের দৃঢ়তা আর অভিজ্ঞতাও তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!