শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে শেভিংয়ে মোলায়েম ত্বক পেতে মেনে চলুন এই ৭ উপায়

শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে শেভিংয়ে মোলায়েম ত্বক পেতে মেনে চলুন এই ৭ উপায়

শেভিংয়ের সঠিক নিয়মগুলো মেনে চলতে বেছে নেওয়া যায় বিভিন্ন পদ্ধতি। সৌন্দর্যসদনগুলোতে নানা রকমের ওয়্যাক্সিং ও থ্রেডিং–সেবা দেওয়া হয়। ঘরেও করা যায় এগুলো। বাজারে পাওয়া যায় অনেক ধরনের হেয়ার রিমুভাল ক্রিম। স্থায়ী সমাধান পেতে নেওয়া যায় লেজারের সাহায্য। কিন্তু যুগ যুগ ধরে শেভিং এ ক্ষেত্রে এক সুবিধাজনক পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। তবে কাঙ্ক্ষিত মোলায়েম ত্বক পেতে চাইলে শেভিংয়ের সঠিক নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।

১. আগে ত্বক ভিজিয়ে নিতে হবে

লোমের ফলিকলগুলো ভিজে আলগা হলে শেভিং হয় মসৃণ। শুষ্ক ত্বকে শেভিং করা উচিত নয়। তাই স্নানের সময় ত্বক কুসুম গরম জলে ভিজিয়ে নিলে ভালো। গরম জলের বাষ্প ও জল ত্বককে নরম করতে এবং লোমকূপগুলোকে উন্মুক্ত করতে সাহায্য করে। লোমের ফলিকলগুলো ভিজে আলগা হলে শেভিং হয় মসৃণ আর ত্বকের ক্ষতিও হয় না।

২. শেভিং ক্রিম ব্যবহার করা

ময়েশ্চারাইজারযুক্ত শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। শেভ করার ক্ষেত্রে জল ভালো কাজে দেয়, তবে ফেনা ওঠে এমন ভালো মানের শেভিং ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো। এতে ত্বকে রেজরের কাটাছেঁড়ার হাত থেকে বাঁচা যায়। শেভ করে ফেলার পর অনেকের লালভাব, জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হয়। ময়েশ্চারাইজারযুক্ত শেভিং ক্রিম ব্যবহারের ফলে এটা অনেকটাই কমে আসে। কোনো কারণে শেভিং ক্রিম ফুরিয়ে গেলে এ ধরনের হালকা ও ক্রিমযুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করা যায়।

৩. রেজরের সঠিক ব্যবহার

রেজর ব্যবহার করার নিয়ম জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেভ করার পরে ত্বক মসৃণ ও মোলায়েম বোধ হলে বুঝতে হবে, রেজরের ব্যবহার সঠিক হয়েছে। যেদিক থেকে লোম বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেদিক থেকে শেভ করা শুরু করতে হবে। এরপর রেজরের অবস্থান পরিবর্তন করে এটিকে বিপরীত দিকে গ্লাইড করতে হবে। তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বিপরীত দিকে চালিয়ে ব্যবহার করা যাবে না।

৪. একই জায়গায় একবার রেজর চালাতে হবে

দুই থেকে তিন ব্লেড রেজর দিয়ে একটিমাত্র সোয়াইপই ত্বকের জন্য যথেষ্ট। অনেকেই ভাবেন ত্বকের একই স্থানে একাধিকবার রেজর চালালে বা সোয়াইপ করলে মসৃণ, সুন্দর ও মোলায়েম ত্বক পাওয়া যাবে। কিন্তু সেটা করতে গেলে উল্টোটা হয়। একই জায়গায় বারবার রেজর চালালে ত্বকে জ্বালাভাব হতে পারে। যার ফলে ফুসকুড়ির পাশাপাশি লাল ভাব ও শুষ্কতাও দেখা দেয় ত্বকে। অব্যবহৃত দুই থেকে তিন ব্লেড রেজর দিয়ে একটিমাত্র সোয়াইপই ত্বকের জন্য যথেষ্ট।

৫. লেডিস রেজর ব্যবহার করতে হবে

মহিলাদের ‘লেডিস রেজর’ ব্যবহার করতে হবে। পুরুষ ও নারীদের রেজরের ধরন আলাদা হয়ে থাকে। বাজারের কম দামি রেজর ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি রেজরে ময়েশ্চারাইজিং স্ট্রিপ থাকে, যা ত্বককে নরম ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। শরীরের সব স্থানে আরামদায়ক শেভের জন্য মেয়েদের রেজরে অ্যাঙ্গেল করা অগ্রভাগ, বিশেষ প্রযুক্তির ব্লেড আর প্রতিরক্ষামূলক কুশনও থাকে।

৬. ছোট স্ট্রোকে শেভিং

দীর্ঘ বা বড় স্ট্রোক সহজ এবং কম সময়সাপেক্ষ মনে হলেও ছোট ছোট স্ট্রোকে শেভ করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।

৭. প্রতি শেভে নতুন রেজর

তিনবার ব্যবহারের পর পুরোনো রেজরটি ফেলে দিতে হবে। শেভ করার পর, পরবর্তী ব্যবহারে চেষ্টা করতে হবে নতুন রেজর ব্যবহার করার। কারণ, পুরোনো রেজর যেমন ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে, তেমনি এতে সময়ও লাগে বেশি। পুরোনো রেজর ব্যবহারের কারণে ত্বকে জ্বালাভাব হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে তিনবার ব্যবহারের পর পুরোনো রেজরটি ফেলে দিতে হবে।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
আরও পড়ুন
error: Content is protected !!