নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা ও বরানগর: ইংরেজি বছরের প্রথম দিনে একসঙ্গে তিনটি জায়গায় অনুষ্ঠিত হলো কল্পতরু উৎসব, যেখানে লক্ষাধিক ভক্তের জমায়েত ঘটে। দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী দেবী মন্দির, বেলুড় মঠ এবং কাশীপুর উদ্যানবাটি ছিল ভক্তদের জন্য এক মঙ্গলময় অভিজ্ঞতা। রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে, দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ভক্তরা পূজা দিলেন।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে এবারও বিশাল ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পূর্ব দিগন্তে সূর্যোদয়ের আগেই ভক্তদের লাইন মন্দির চত্বরে বাড়তে থাকে। রাত তিনটের সময় থেকেই ভক্তরা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। ভোরে মঙ্গল আরতির পাশাপাশি বিশেষ পুজোও অনুষ্ঠিত হয়। ভক্তদের মধ্যে অনেকেই জিনিসপত্র হারানোর অভিযোগ করেন, তবে মন্দিরে সাহায্যের জন্য হেল্প ডেক্স চালু ছিল, যেখানে ভিড় ছিল উপচে পড়া। কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো ভক্ত পুজো দিতে এসেছিলেন। নিরাপত্তার জন্য ছিল ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা, যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে।
এছাড়া, বেলুড় মঠেও সকাল থেকে ভক্তদের ভিড় ছিল। মঠের প্রধান মন্দির, মা সারদার মন্দির এবং স্বামী বিবেকানন্দের মন্দিরে দিনভর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ বলেন, ‘আজকের দিনটি ঠাকুরের অবতারত্বের স্মরণে উদযাপন করা হচ্ছে।’ প্রচুর ভক্ত ও দর্শনার্থী মঠে পৌঁছেছিলেন, তাদের জন্য প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
কাশীপুর উদ্যানবাটিতে কল্পতরু উৎসবও এক বিশাল জনসমাবেশের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। মধ্যরাত থেকেই দু’টি পৃথক লাইন শুরু হয়। সকাল থেকে সানাইয়ের সুরে উৎসবের শুরু হয়, এবং ভক্তরা সারা দিন ধরে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ পূজার পাশাপাশি হোম, উষাকীর্তন এবং যাত্রাপালা সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কাশীপুর রামকৃষ্ণ মহাশ্মশানে এই উৎসবের সমাপ্তি হবে তিন তারিখে।