ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রাধার জন্ম হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। বৃষভানুর কন্যা রাধার জন্মাষ্টমীর পর রাধাষ্টমী পালন করা হয়। রাধাষ্টমীর বিশেষ উপলক্ষে শ্রীকৃষ্ণের জন্য নানা রকমের মিষ্টান্ন তৈরি করা হয়। আজকে শেয়ার করছি এক বিশেষ মিষ্টি – ক্ষীর পাটিসাপটার রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্ষীর তৈরি করতে যা লাগবে:
- তরল দুধ – ৫০০ মি.লি.
- গুঁড়ো দুধ – ২ টেবিল চামচ
- চিনি – ১/২ কাপ
- এলাচ গুঁড়ো – এক চিমটি
- সুজি – ২ চা চামচ
পাটিসাপটা পিঠার জন্য যা লাগবে:
- চালের গুঁড়ো – ১ কাপ
- ময়দা – ১/২ কাপ
- গুঁড়ো দুধ – ২ চা চামচ
- চিনি – ৩ টেবিল চামচ
- লবণ – এক চিমটি
- জল – প্রয়োজনমতো
রন্ধন প্রক্রিয়া
১. প্রথমে তরল দুধ মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। এবার এতে চিনি ও সুজি যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।
২. এবার গুঁড়ো দুধ মেশান। এতে ক্ষীরের টেক্সচার আরও মোলায়েম হয় এবং স্বাদও অনেক বেশি ভালো হয়। মিশ্রণটি ভালোভাবে নেড়ে নিন যাতে দলা না পাকায়।
৩. মিশ্রণটি ঘন হলে সামান্য এলাচ গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। এই ক্ষীরটি পাটিসাপটার পুর হিসেবে ব্যবহার হবে।
৪. এবার একটি বড় পাত্রে ময়দা, চালের গুঁড়ো, গুঁড়ো দুধ, চিনি এবং এক চিমটি লবণ একসাথে মিশিয়ে নিন।
৫. প্রয়োজনমতো জল দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। মিশ্রণটি খুব ঘন বা খুব পাতলা হবে না।
৬. ননস্টিক প্যানে সামান্য ঘি ব্রাশ করে তাপ দিন। গোল চামচ দিয়ে পিঠার ব্যাটার প্যানে ঢেলে ছড়িয়ে দিন, যেন রুটির মতো শেপ হয়।
৭. এক কোণায় ক্ষীরসা দিয়ে পিঠাটি ভাঁজ করুন। চুলার আঁচ কমিয়ে রেখে ধীরে ধীরে পিঠাটি ভাজুন।
৮. একপাশ ভাজা হলে উল্টে দিন এবং ভালোভাবে ভেজে তুলে ফেলুন। এভাবে একটি একটি করে সব পিঠা তৈরি করুন।
এইভাবে সহজে অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষীর পাটিসাপটা তৈরি করা যায়। চাইলে চিনি বাদ দিয়ে গুড় ব্যবহার করেও বানাতে পারেন।