মেক্সিকো সিটির জমকালো পরিবেশে ১৪ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত হলো ৭৩তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার ন্যাশনাল কস্টিউম শো। এই বিশেষ রাতে প্রতিটি প্রতিযোগী নিজ দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মধ্য দিয়ে নিজেদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের গল্প তুলে ধরেন। বিশ্বজুড়ে প্রতিযোগীদের পোশাকের বহুমাত্রিক বৈচিত্র্য মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের।
রাশিয়া থেকে এক ভিন্ন রূপকথা
মিস রাশিয়া ভ্যালেন্তিনা আলেক্সিয়েভা তার দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে রূপকথার রাজকুমারীর মতোই চমৎকার দেখাচ্ছিল। জাঁকজমকপূর্ণ রঙিন পোশাকে রাশিয়ার সংস্কৃতির নিদর্শন ফুটে উঠেছিল।

ইকুয়েডরের প্রকৃতির রঙে মোড়া
মিস ইকুয়েডর মারা টপিকের পোশাকে ফুটে উঠেছিল আমাজন অরণ্য ও স্থানীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়া। পরিবেশের প্রতি সচেতন বার্তা দিয়ে এই পোশাকটি সবার নজর কেড়েছিল।

বুলগেরিয়ার ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য
মিস বুলগেরিয়া এলেনা ভিয়ানের পোশাক প্রতিফলিত করেছিল বুলগেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা। তার পোশাকে ধ্রুপদী ডিজাইনের সঙ্গে আধুনিকতার সমন্বয় দেখা গেছে।

লাটভিয়ার শীতকালীন জাদু
মিস লাটভিয়া মারিয়া ভিসিনস্কার পোশাকে ছিল শীতকালীন বনাঞ্চলের অভিজাত সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি। তার ডিজাইনে দেশটির প্রাকৃতিক শোভা ফুটে উঠেছিল।

কানাডার ঐতিহ্যের গল্প
মিস কানাডা অ্যাশলে কলিংবুল তার পোশাকে তুলে ধরেন স্থানীয় কানাডিয়ান আদিবাসীদের ঐতিহ্য। প্রতিটি ডিজাইনের পেছনে লুকিয়ে ছিল দেশের ইতিহাসের গল্প।

ডোমিনিকান রিপাবলিকের চমক
মিস ডোমিনিকান রিপাবলিক সেলিনি সান্তোসের পোশাকে স্থানীয় লোকশিল্প ও ক্যারিবিয়ান ঐতিহ্যের মিলন ঘটে। উজ্জ্বল রঙের ব্যবহারে তিনি সবার নজর কাড়েন।

পুয়ের্তো রিকোর উজ্জ্বল আভা
মিস পুয়ের্তো রিকো জেনিফার কলনের পোশাক ছিল তার দেশের উৎসব ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল প্রতীক। তার ডিজাইনে ছিল প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক দারুণ সংমিশ্রণ।

ব্রাজিলের জঙ্গল থেকে রঙিন কাহিনি
মিস ব্রাজিল লুয়ানা কাভালকান্তে আমাজনের ঐতিহ্য তুলে ধরেন তার পোশাকের মাধ্যমে। সবুজ ও সোনালি রঙের এই পোশাকটি সবার মন জয় করে।

চীনের ঐতিহ্য ও আধুনিকতা
মিস চায়না জিয়া চি তার পোশাকে দেশটির প্রাচীন শিল্পকলা ও সমসাময়িক ফ্যাশনের মেলবন্ধন দেখান। তার পোশাকটি ছিল এক চমৎকার শিল্পকর্ম।

মিস মেক্সিকো মারিয়া ফার্নান্ডা বেলট্রান তার দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে এই রাতের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন। দেশের সংস্কৃতি ও আভিজাত্যের প্রতীক এই পোশাকটি বিশেষ প্রশংসিত হয়।
















প্রতিযোগিতার এই বিশেষ রাতে প্রায় ৯০টি দেশের প্রতিযোগী তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে পোশাকের মাধ্যমে তুলে ধরেন। বিশ্ব ঐতিহ্যের এই উদযাপন সত্যিই এক অপূর্ব মঞ্চ তৈরি করেছিল।