Ad_vid_720X90 (1)
Advertisment
পুজোর আগে ফ্যাশনে প্রতিবাদের ঢেউ: আরজি কর আন্দোলনের সমর্থনে টি-শার্টের জোয়ার!

পুজোর আগে ফ্যাশনে প্রতিবাদের ঢেউ: আরজি কর আন্দোলনের সমর্থনে টি-শার্টের জোয়ার!

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪: আরজি কর আন্দোলনের পটভূমিতে কলকাতায় টি-শার্ট ফ্যাশনে বিপ্লব ঘটেছে। ‘আর কবে?’ স্লোগান দিয়ে অরিজিৎ সিংহের গাওয়া গানটি যেমন আন্দোলনের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে, সেই গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তৈরি হয়েছে নানা ধরনের টি-শার্ট। মূলত ‘আরজি কর আন্দোলন’-এর সমর্থনে বাজারে এসেছে এসব টি-শার্ট। প্রতিটি টি-শার্টেই থাকছে প্রতিবাদী স্লোগান, যা আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

ফ্যাশনে প্রতিবাদের ছোঁয়া

টি-শার্টের ওপর মুঠো করা হাতের ছবি ও সাদা হরফে লেখা ‘আর কবে?’ স্লোগান যেন নতুন প্রজন্মের প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছে। শুধু এই একটি নয়, ‘আমার দুর্গা বিচার চায়’, ‘বিচার চাই’, ‘জাস্টিস ফর তিলোত্তমা’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া টি-শার্টও বাজারে এসেছে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই টি-শার্টের বিজ্ঞাপনও দেখা যাচ্ছে। টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় অরিজিতের নাম করে এই টি-শার্টের প্রচার করেছেন, যা আন্দোলনের শক্তি বাড়িয়ে তুলেছে।

পুজোর আগে ফ্যাশনে প্রতিবাদের ঢেউ: আরজি কর আন্দোলনের সমর্থনে টি-শার্টের জোয়ার!

আন্দোলন নিয়ে ব্যবসা?

যদিও অনেকেই মনে করছেন যে আন্দোলনের পেছনে ব্যবসা করা হচ্ছে, কিন্তু পোশাকশিল্পীরা তা মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, “ফ্যাশনের মাধ্যমেও যদি প্রতিবাদের ভাষা প্রকাশ পায়, তবে সমস্যা কোথায়?” পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়ের মতে, কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় আন্দোলনের পাশে দাঁড়ায় এবং সৃষ্টিশীল কিছু তৈরি করে, তবে তাকে সমালোচনা করা অন্যায়।

আরও সাপোর্ট টলিউড থেকে

টলিউডের আরও এক অভিনেত্রী দর্শনা বণিকও বলছেন যে, টি-শার্টের মাধ্যমে আন্দোলনের কথা ছড়িয়ে দেওয়া গেলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। বরং এটি প্রতিবাদের আরও একটি মাধ্যম। দর্শনার মতে, টি-শার্টের ব্যবসা করা নয়, বরং এটি আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর এক উপায়। যারা টি-শার্ট তৈরি করছেন, তাঁরা নিজেদের মতে আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করছেন।

দর্শনা বণিক

বাজারে টি-শার্টের জনপ্রিয়তা

‘ব্রটমা’ নামে একটি সংস্থা আরজি কর আন্দোলনের সাপোর্টে টি-শার্ট তৈরি করেছে। সংস্থার কর্ণধার নির্মল দাগা জানান, “যদিও প্রচুর বিক্রি হচ্ছে না, তবে বিক্রি হচ্ছে এবং মানুষের আগ্রহও রয়েছে।” তিনি বলেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া দুষ্কৃতিকারীদের হিংসাত্মক আক্রমণে তিনি মর্মাহত হয়েছিলেন এবং তখন থেকেই তিনি এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান। তাই ফ্যাশনের মাধ্যমেই তিনি প্রতিবাদী বার্তা পৌঁছে দিতে চান।

অবশেষে, টি-শার্টটি আন্দোলনের এক বিশেষ প্রতীক হয়ে উঠেছে, যা মানুষকে স্রেফ ফ্যাশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, প্রতিবাদের ভাষাও শেখাচ্ছে।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
error: Content is protected !!