বাস বা ট্রেনে যাতায়াতের সময় প্রায়ই শোনা যায় কেউ নাক টানছে বা সর্দি পরিষ্কার করছে। সর্দি হলে নাক নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বারবার নাক পরিষ্কার করলেও তা যেন পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না। যাঁদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি, তাঁদের জন্য এ এক বড় সমস্যা। নাকের মিউকাস বা সর্দি পরিষ্কার করা জরুরি হলেও তা ভুল পদ্ধতিতে করলে ক্ষতি হতে পারে।
নাক ঝাড়ার ক্ষতি
ঠান্ডা লাগলে নাক প্রতিদিন প্রায় ১ থেকে ২ লিটার মিউকাস তৈরি করে। এটি মূলত ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে, খুব জোরে নাক ঝাড়ার ফলে বিপরীত সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জোরে নাক ঝাড়লে মিউকাস ও জীবাণু সাইনাস বা কানের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। এর ফলে সাইনাস ইনফেকশন, কানে ব্যথা বা কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
জোরে নাক ঝাড়ার সময় শ্বাসনালীতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। এতে মিউকাস ভুল পথে যেতে পারে এবং আপনার সর্দি সহজে সেরে ওঠে না। এমনকি নাক দিয়ে রক্তপাত বা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সর্দি পরিষ্কার করার সঠিক পদ্ধতি
- গরম জলের ভাপ নিন
গরম জলের ভাপ শ্বাস নিলে নাকের ভেতরে জমে থাকা সর্দি সহজেই বেরিয়ে আসে। - হালকা চাপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করুন
নাক পরিষ্কার করার সময় খুব বেশি জোর দেবেন না। একেকবার একেক নাসারন্ধ্র পরিষ্কার করুন। - লবণ জলের ব্যবহার
লবণ জল দিয়ে নাক ধুলে নাসারন্ধ্র পরিষ্কার হয় এবং জীবাণু দূর হয়। - শরীরকে বিশ্রাম দিন
ঠান্ডা লাগলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। শরীরের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় মিউকাস বের হয়ে যাবে।
সতর্কতা
সর্দি পরিষ্কার করার জন্য জোরে নাক ঝাড়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। পরিবর্তে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এতে আপনার শ্বাসনালী ও কানের ক্ষতির ঝুঁকি কমবে।