বাঙালির কালীপুজোর পাশাপাশি নেপালি সম্প্রদায়ে পালিত হচ্ছে এক বিশেষ ঐতিহ্য—”কুকুর তেওহর,” যেখানে পরিবারের প্রিয় সারমেয়দের দেবত্বে অভিষিক্ত করে পুজো করা হয়। নেপাল এবং ভারতীয় নেপালি সম্প্রদায়ের এই বিশেষ উৎসবে সারমেয়দের গলায় মালা পরানো, তিলক দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
আলোর উৎসবের সঙ্গেই কুকুর পুজোর এক ঐতিহ্য
দীপাবলির আলোর রোশনাই যখন চারদিকে ছড়িয়েছে, তখন নেপালের মানুষ উদযাপন করছেন কুকুরের উৎসব, কুকুর তেওহর। এই দিনে নেপালিরা বিশ্বাস করেন যে, কুকুর ভগবান ভৈরবের বাহন এবং তাঁর অনুগত সঙ্গী। তাই দেবভক্তিতে অভিষিক্ত করতেই কুকুরদের স্নেহ, সম্মান আর পূজায় সজ্জিত করা হয়।
পুরোহিতের আর্শীবাদ ও কুকুরদের প্রিয় খাবার
এই উৎসবে বাড়িতে পুরোহিত এসে সারমেয়দের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে এবং তিলক দিয়ে সাজিয়ে দেন। তাদের প্রিয় খাবার পরিবেশন করে এই প্রাচীন রীতি পালিত হয়। এটি নেপালি ঐতিহ্যের একটি বিশেষ অংশ।
পৌরাণিক কাহিনি ও লোকবিশ্বাস
কুকুর তেওহরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দুটি প্রধান পৌরাণিক কাহিনি। নেপালিরা বিশ্বাস করেন যে কুকুর ভগবান ভৈরবের বাহন। তাই তাঁকে সন্তুষ্ট করতে কুকুর পুজো করা হয়। অন্য কাহিনিতে, মৃত্যুর দেবতা যমের কুকুরদের নরকের দরজায় পাহারাদার হিসেবে বলা হয়, এবং কুকুরের পুজো করলে মৃত্যুর পর মানুষ নরকের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
নেপালের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব আমাদের জানায়, পশুদের প্রতি স্নেহ ও তাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক কিভাবে ঐতিহ্যের একটি বিশেষ অংশ হয়ে ওঠে।