Ad_vid_720X90 (1)
Advertisment
দাবিপূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক চিকিৎসক ধর্মঘট, সিনিয়র-জুনিয়রদের যৌথ হুঁশিয়ারি

দাবিপূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে সর্বাত্মক চিকিৎসক ধর্মঘট, সিনিয়র-জুনিয়রদের যৌথ হুঁশিয়ারি

সোমবারের মধ্যে সকল দাবি মানা না হলে আবারও ধর্মঘটে নামবেন চিকিৎসকেরা। শুক্রবার, সিনিয়র ডাক্তারদের সাথে বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা একযোগে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, “সোমবারের মধ্যে যদি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে না নেন, তবে মঙ্গলবার আমরা পূর্ণাঙ্গ ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হব।” তিনি আরও জানান, এই ধর্মঘটে সিনিয়র ডাক্তাররাও তাঁদের পাশে থাকবেন। সাংবাদিক বৈঠকে দেবাশিসের সাথে সিনিয়র এবং অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তাররাও উপস্থিত ছিলেন।

জুনিয়র ডাক্তাররা ১০ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন। আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সংস্কারের দাবিতে গত দুই মাস ধরে চলছে তাঁদের এই আন্দোলন। সরকার এখনো তাঁদের দাবির কোনও সদুত্তর দেয়নি। ইতিমধ্যে ছয় জন জুনিয়র চিকিৎসক অনশন করতে করতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, যার মধ্যে পাঁচ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ কী হবে তা ঠিক করতে শুক্রবার সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দেবাশিস জানিয়েছেন, “সোমবার পর্যন্ত সরকারকে সময় দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। যদি সেটা না হয়, তবে মঙ্গলবার থেকে সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তাররা একযোগে সর্বাত্মক ধর্মঘটে নামবেন।”

এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে স্বাস্থ্য পরিষেবায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রভাব পড়েছিল ওই কর্মবিরতির জেরে। শুক্রবার সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে দেবাশিস বলেন, “আগামী ধর্মঘটে যদি কোনও রোগীর ক্ষতি হয়, তার দায় সরকারের এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিতে হবে। আমাদের আর কোনও উপায় না থাকায় আমরা অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কথা ভাববেন ভেবেছিলাম, কিন্তু এখনও সরকার থেকে কোনও সদুত্তর পাইনি। আমাদের সহকর্মীরা সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।”

বৃহস্পতিবারও আন্দোলনের গতি নির্ধারণ করতে সিনিয়রদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকেন জুনিয়ররা, কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেই বৈঠক সম্পন্ন হয়নি। তাই শুক্রবার ফের বৈঠকের আয়োজন করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আইএমএ এবং অন্যান্য চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

শুধু ধর্মঘটের সিদ্ধান্তই নয়, আরও কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে শুক্রবারের বৈঠকে। শনিবার থেকে ‘ন্যায়বিচার যাত্রা’ শুরু হবে, যেখানে সিনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। আরজি কর-কাণ্ডে নিহত চিকিৎসকের বাড়ি থেকে শুরু হবে মিছিল এবং শেষ হবে ধর্মতলায় অনশনমঞ্চে। রবিবার অনশনমঞ্চে ‘মহাসমাবেশের’ ডাক দেওয়া হয়েছে এবং সোমবার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
error: Content is protected !!