পড়ার জগতে সুখবর! মার্কিন কপিরাইট আইনের সীমা পেরিয়ে এবার মুক্ত হলো টিনটিন, কুট্টুস, ক্যাপ্টেন হ্যাডক, এবং প্রফেসর ক্যালকুলাস। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি, কপিরাইট মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্বজুড়ে এই কাল্পনিক চরিত্রগুলো নতুন যুগে প্রবেশ করল।
টিনটিনের অ্যাডভেঞ্চারগুলি ইতিমধ্যেই ছোট থেকে বড় সবার মন জয় করেছে। বাঙালির কাছে টিনটিনের পরিচয় এনে দিয়েছিলেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। কপিরাইটের বাঁধা সরিয়ে যাওয়ায়, এখন টিনটিনের বই আরও সুলভ হবে। শুধু বাংলাই নয়, ভারতের অন্যান্য ভাষাতেও টিনটিনের অনুবাদ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে।
টিনটিনের যাত্রা:
বেলজিয়ান শিল্পী ও লেখক হার্জ (জর্জেস রেমি)-এর হাত ধরে ১৯৩০ সালে টিনটিনের যাত্রা শুরু। প্রথম বই ‘টিনটিন ইন দ্য ল্যান্ড অফ দ্য সোভিয়েতস’। এরপর এসেছে একের পর এক ক্লাসিক গল্প:
- টিনটিন ইন টিবেট
- দ্য ব্লু লোটাস
- সিগারস অফ দ্য ফ্যারাও
- ডেস্টিনেশন মুন
সবশেষ বই ‘টিনটিন অ্যান্ড দ্য আলফ-আর্ট’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে।
টিনটিনের গল্প শুধু সোভিয়েত ইউনিয়ন বা তিব্বতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। সাহসিকতার সঙ্গে সে পাড়ি দিয়েছে আফ্রিকা, চীন, চাঁদ, এবং আরও অনেক জায়গায়। টিনটিন সিরিজের ২৪টি বই আজও বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়।
কপিরাইট মুক্তির প্রভাব:
এখন থেকে টিনটিনের বই যে কেউ প্রকাশ করতে পারবেন। পিডিএফ শেয়ার বা ডিজিটাল কপি তৈরি করাও হবে সম্পূর্ণ আইনি। নতুন প্রকাশনা, কম দামে বই কেনার সুযোগ, এবং আরও বিস্তৃত ভাষায় অনুবাদ হতে পারে।
সেই তালিকায় অন্যরাও:
শুধু টিনটিন নয়, এই কপিরাইট মুক্তির আওতায় পড়েছে আরও কিছু কালজয়ী সাহিত্যকর্ম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- এলজি ক্রাইসলারের ‘পপাই দ্য সেলর’
- আর্নেস্ট হেমিংওয়ের উপন্যাস:
- ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’
- ‘ফর হুম দ্য বেল টোলস’
- ‘আ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস’
টিনটিনের ভবিষ্যৎ:
১১০টি ভাষায় ইতিমধ্যেই প্রকাশিত টিনটিনের গল্প নতুন নতুন ভাষায় আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে। ছোটদের পাশাপাশি বড়দেরও প্রিয় এই সিরিজ এখন সবার। টিনটিনের অ্যাডভেঞ্চার নতুন যুগে যে আরও জনপ্রিয় হবে, তা বলাই বাহুল্য।