জন্মাষ্টমীতে উপোস পালন করেন অনেকেই, শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি প্রকাশ করতে। এই দিনটি কৃষ্ণভক্তদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস করা হয়, উপোস করে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করলে জীবনে সফলতা আসে। তবে উপোসের সময় শরীর সুস্থ রাখতে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে উপোসের দিনেও শরীর সুস্থ রাখা যায়।
ফল খাবার প্রয়োজনীয়তা
উপোসের সময় ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ফল শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে রক্ষা করে, এবং পেটকে কিছুটা হলেও ভর্তি রাখে। এছাড়াও, ফল খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যাও কমে যায়। তাই উপোসের সময় অবশ্যই ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
হালকা খাবার খান
উপোসের দিন ভারী খাবার খাওয়া একদমই উচিত নয়। হালকা খাবার যেমন দই, ছোলা, বা লুচি ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে পেট ভরে থাকে। এতে হজমের সমস্যা কম হবে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলুন
উপোসের শেষে সিঙ্গারা, ভাজাভুজি, বা ভারী মিষ্টি খাবার না খাওয়াই ভালো। এগুলি হজমের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং শরীরে অস্বস্তি আনতে পারে। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
আগুনের সামনে থেকে দূরে থাকুন
যদি আপনি জন্মাষ্টমীতে যজ্ঞ করেন, তাহলে বেশি সময় ধরে আগুনের সামনে না থাকার চেষ্টা করুন। ধোঁয়ার কারণে অনেকের শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে বা মাথা ঘুরতে পারে। তাই সাবধান থাকুন।
নির্জলা উপোসে সতর্কতা
যদি আপনি নির্জলা উপোস পালন করেন, তাহলে মাঝে মধ্যে মুখ, গলা, এবং ঘাড়ে জল দিয়ে নিজেকে সতেজ রাখুন। এছাড়াও, বিকেলের পর ছাদে গিয়ে হাওয়া নিতে পারেন, যাতে শরীর তাজা থাকে।
সদ্য কাটা ফল খান
উপোসের পরে ফল খাওয়ার সময় সদ্য কাটা ফলই খাবেন। অনেকক্ষণ ধরে কেটে রাখা ফল খাওয়া একদমই ঠিক নয়, কারণ এতে শরীর খারাপ হতে পারে।
গরম দুধ পান করুন
উপোসের শেষে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এটি সারাদিনের ক্লান্তি দূর করবে এবং রাতে ভালো ঘুম হবে।
মিষ্টি খাবার সীমিত করুন
উপোসের পরে মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। বেশি মিষ্টি খেলে গা গুলি, বমি, বা পেটব্যথা হতে পারে। এছাড়াও, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
খালি পেটে শোবেন না
উপোস ভাঙার পর কিছু খেয়ে তবেই শুতে যান। খালি পেটে শোয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
শরীর হাইড্রেট রাখুন
উপোসের সময় শরীর হাইড্রেট রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডাবের জল, নারকেলের জল বেশি করে পান করুন, যাতে শরীরে জলশূন্যতা না হয়।
এই টিপসগুলো মেনে চললে উপোসের দিনও আপনার শরীর থাকবে সুস্থ ও সতেজ।