চিনে নতুন করে এক ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর কারণে বহু মানুষ শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে প্রচুর আলোচনা হলেও, ভাইরাস সংক্রমণের সত্যতা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে আংশিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। একাধিক ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে যে, এইচএমপিভি সংক্রমণে বহু মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
2/n Problem is secrecy of the Chinese govt. Reportedly, forbidden to mention new covid strains there; illness is reported as flu or bacterial Mycoplasma pneumonia. So this new wave could be H1N1 flu, or a different flu (e.g. H3N3), or a new strain of covid, or something else. pic.twitter.com/SkqVKTgn81
— Tim Skellett (@Gurdur) December 28, 2024
কী বলছে বিশেষজ্ঞরা?
এইচএমপিভি প্রথমে ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা আবিষ্কার করেছিলেন। এটি মূলত কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে ছড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলি হলো—একটানা কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট। শিশুরা বা যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়া ঘটাতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে সেরে যায়।
চিনে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর?
চিনের হাসপাতালগুলিতে এই ভাইরাসজনিত কারণে রোগীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। শীতের মুখে এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯-এর মতো একাধিক ভাইরাস একসঙ্গে সক্রিয় হওয়ার ফলে চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। কোভিড-১৯ এর মতো এই ভাইরাসও ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটাতে পারে, যা রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ায়।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
এইচএমপিভি থেকে রক্ষা পেতে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—বারবার হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকা। যাঁদের মধ্যে কো-মরবিডিটি রয়েছে, তাঁদের আরও সাবধানে থাকতে হবে।