লন্ডনের সাভয় হোটেলে একসঙ্গে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করলেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী রুমেইসা গেলগি এবং সবচেয়ে খাটো নারী জ্যোতি আমগে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (GWR) ডে-তে এই দুই বিশেষ রেকর্ডধারীর প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ রীতিমতো এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
রুমেইসা, যাঁর উচ্চতা ২১৫.১৬ সেমি (৭ ফুট ০.৭ ইঞ্চি), তিনি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জীবিত নারীর খেতাবধারী। অন্যদিকে, মাত্র ৬২.৮ সেমি (২ ফুট ০.৭ ইঞ্চি) উচ্চতার জ্যোতি, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সবচেয়ে খাটো জীবিত নারীর (মোবাইল) শিরোপা ধরে রেখেছেন। দুই নারীর উচ্চতার পার্থক্য ১৫২.৩৬ সেমি (পাঁচ ফুট) হলেও তাঁদের বন্ধুত্বে তা এক মুহূর্তের জন্যও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
চায়ের টেবিলে গল্প, ফ্যাশন, আর আত্ম-উপলব্ধির গল্পে মেতে ওঠেন তাঁরা। একসঙ্গে কাটানো এই সময়টি হয়ে ওঠে তাঁদের জীবনের এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। রুমেইসা বলেন, “জ্যোতিকে দেখার জন্য আমি বহুদিন অপেক্ষা করেছিলাম। তিনি অসম্ভব সুন্দর একজন মানুষ।”

জ্যোতিও তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমি সব সময় আমার থেকে লম্বা মানুষদের দিকে তাকিয়ে কথা বলি। তবে আজ আমি আনন্দিত, কারণ এই প্রথম আমি তাকিয়ে দেখলাম বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারীকে।”
সাভয় হোটেলের আতিথ্যে এই অনন্য সাক্ষাৎ বিশ্বজুড়ে অনুপ্রেরণার বার্তা দেয়। ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তা ইন্টারনেটে ঝড় তোলে, মাত্র একদিনে ৫৩ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পায়।
অনেকেই এই মুহূর্ত নিয়ে মন্তব্য করেছেন। একজন লেখেন, “মানবজাতির বৈচিত্র্য সত্যিই বিস্ময়কর। এত লম্বা আর এত খাটো দুই মানুষ একসঙ্গে দেখলে মহাবিশ্বের অদ্ভুত সৌন্দর্যের কথা মনে পড়ে।” আরেকজন বলেন, “তাঁদের হাসি সত্যিই সবচেয়ে সুন্দর এবং আন্তরিক।”
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এই মুহূর্তটিকে “বৈচিত্র্যের সৌন্দর্য উদযাপন” বলে অভিহিত করেছে। সাভয় হোটেলও তাঁদের আতিথ্য দেওয়ার অভিজ্ঞতাকে স্মরণীয় বলে উল্লেখ করেছে।
এই গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, উচ্চতা, গড়ন বা বৈশিষ্ট্যে ভিন্ন হলেও বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা যেকোনো সীমারেখা অতিক্রম করতে পারে।