দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে বাকি !!

Days
Hours
Minutes
Seconds

কোথায়, কীভাবে, কোন টাই পরবেন

কোথায়, কীভাবে, কোন টাই পরবেন

রং, নকশা, কাপড় কিংবা কাট সব মিলিয়ে টাইয়ের ধরন অগণিত। ফলে ঠিকঠাক টাই বাছাই করতে গিয়ে পড়তে হয় দ্বিধায়। এমনকি যাঁরা নিয়মিত টাই পরেন, তাঁদেরও পোহাতে হয় এই ভোগান্তি। নিজের জন্য সঠিক টাই বাছাই করতে মাথায় রাখতে হয় দৈহিক আকৃতি, শার্টের রং, নকশা, কলার ও উপলক্ষের মতো বিষয়গুলো। এখানে থাকছে নিজের জন্য মানানসই টাই নির্বাচনে তেমনি কিছু টিপস।

দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ

টাই নির্বাচনের জন্য প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক অনুপাতের টাই বাছাই করা। এ ক্ষেত্রে আপনার দৈহিক আকৃতির অনুপাতে টাই নির্বাচন করুন। আপনি পাতলা গড়নের হলে অধিক প্রস্থের টাই এড়িয়ে চলুন। দৈর্ঘ্যের ক্ষেত্রে টাইয়ের শেষ প্রান্ত ঠিক বেল্ট পর্যন্ত পৌঁছাবে, কোনোভাবেই এটি বেল্টের নিচে নামবে না।

অফিসিয়াল মিটিং ও কাজের অনুষ্ঠানে

টাই নির্বাচন: সাধারণত সোলিড কালার বা সাবলীল প্যাটার্নযুক্ত টাই পরা উত্তম। এই টাইগুলো অফিসের পরিবেশে প্রফেশনাল এবং সুশৃঙ্খল দেখায়। কালার: কালো, নেভি ব্লু, বা ধূসর রঙের টাই ভাল। ফিনিশিং হিসেবে সিল্ক টাই ব্যবহার করতে পারেন।

সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ের অনুষ্ঠান, পার্টি ইত্যাদি)

টাই নির্বাচন: এখানে আপনি আরও চমকপ্রদ ডিজাইন এবং রঙ ব্যবহার করতে পারেন। ডটেড, স্ট্রাইপড, বা প্যাটার্নযুক্ত টাই ভালো। কালার: উজ্জ্বল বা অদ্ভুত রঙের টাই যেমন লাল, নীল, বা সোনালী রঙের টাই পরা যেতে পারে।

ক্যাজুয়াল আউটিং (সামান্য আনুষ্ঠানিকতা)

টাই নির্বাচন: ক্যাজুয়াল টাই নির্বাচন করতে পারেন যা কম ফর্মাল এবং একটু মজাদার হতে পারে। কালার: হালকা রঙের টাই যেমন হালকা নীল, গোলাপী, বা সাদা টাই পরা যেতে পারে।

রং

টাইয়ের রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন রঙের শার্ট পরছেন, সেদিকে খেয়াল রাখুন। শার্টের প্রধান রং টাইয়ের জন্য নির্বাচন করুন। এ ছাড়া উপলক্ষ অনুসারে টাইয়ের রঙে ভিন্নতা আসে। নীল, কালো কিংবা গাঢ় ধূসর প্রাতিষ্ঠানিক কোনো উপলক্ষে টাইয়ের জন্য আদর্শ রং।

প্যাটার্ন

টাইয়ের নকশার প্যাটার্ন নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এর সমাধানে শার্টের প্যাটার্নের দিকে লক্ষ রাখুন। শার্টের নকশার বিপরীত প্যাটার্নের টাই পরুন। শার্টের প্যাটার্ন যদি বড় হয়, সে ক্ষেত্রে ছোট প্যাটার্নের টাই পরুন। আবার শার্টের প্যাটার্ন ছোট হলে টাই ঠিক তার উল্টোটা।

টাই পরার নিয়মাবলী

টাই বাঁধা: টাই বাঁধার পদ্ধতি সঠিকভাবে শিখতে হবে। সবচেয়ে সাধারণভাবে ‘উইন্ডসর নট’ এবং ‘হাফ উইন্ডসর নট’ ব্যবহার করা হয়। ফিটিং: টাইয়ের শেষের অংশটি আপনার প্যান্টের বেল্টের সাথে টাচ করা উচিত। বেশি লম্বা বা ছোট হলে সেটি আবার বাঁধুন।

নট

সঠিক রং ও মাপের টাই নির্বাচন করলেও অনেক সময়ই নটের বিষয়টি চোখ এড়িয়ে যায়। তবে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নটের আকারের ব্যাপারে সচেতনতা অবলম্বন করুন। শার্টের কলারের অনুপাতে নটের আকার ঠিক করুন। এ ক্ষেত্রে ‘আমেরিকান নট’ ব্যবহার করতে পারেন। এটি বেশ মার্জিত ও প্রায় সব ধরনের কলারের সঙ্গে মানানসই।

অন্যান্য টিপস

ম্যাচিং: টাইয়ের সাথে আপনার শার্ট এবং স্যুটের রঙ মিলিয়ে নিন। সাধারণত টাইয়ের রঙ শার্টের রঙের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হয়। প্রোটেকশন: টাইয়ের কিট ধোয়ার আগে প্রতি ব্যবহার পর সাবধানে দেখুন যেন কোনো তেল বা ময়লা না লেগে থাকে।

উপলক্ষ

চাকরির ইন্টারভিউ অথবা ব্যবসায়িক মিটিংয়ে মার্জিত টাই পরুন। তবে উৎসবে টাই চটকদার হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সিল্কের টাই ভালো পছন্দ। কারণ, আলোর চমৎকার প্রতিফলন ঘটায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে গোলাপি অথবা ফিরোজা–জাতীয় উজ্জ্বল রঙের টাই পরতে পারেন। গালা ইভেন্টে কালো রঙের টাই সবচেয়ে মানানসই।

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram
Email
Print
আরও পড়ুন
error: Content is protected !!